শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২১
পুকুরপাড়ের বাগানে আম ও মুকুলের খেলা বছরজুড়ে। কোনো গাছে মুকুল, তো কোনো গাছে আম। আবার পরিপক্ক আমের সাথে গাছে থাকে নতুন মুকুলও।
এমনভাবে বছরে তিন বার ‘কাঠিমন’ জাতের আম পান চাষি মো. রফিকুল ইসলাম। তার ‘কাঠিমন’ জাতের আমের বাগান রয়েছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত রাজশাহীতে আম উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মেয়াদকাল ধরা হয়। কিন্তু ব্যতিক্রম ‘কাঠিমন’ আমের ক্ষেত্রে। বছর জুড়ে মিলবে ‘কাঠিমন’ আম।
বর্তমানে আমের মৌসুম শেষ। তবে ‘কাঠিমন’ জাতের আম বাজারে মিলছে। চাহিদা বেশি। প্রতিমণ আমের দাম ৮ হাজার টাকা। তাহলে প্রতিকেজি দাঁড়ায় ২০০ টাকা।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে দিনাজপুর থেকে ‘কাঠিমন’ জাতের আমের চারা আনেন রফিকুল ইসলাম। প্রতিটি আমের চারার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। এসময় তিনি ১ হাজার ১০০টি আম গাছের চারা তার ২৫ বিঘা পুকুর পাড়ে রোপণ করেন। গাছে পরের বছর থেকেই মুকুল আসতে শুরু করে।
রফিকুল জানান, ‘কাঠিমন’ জাতের আমের চারা লাগানোর এক বছর পরেই মূলত ফল আসতে শুরু করে। গত বছর গাছের ওয়েট (ওজন) ও হাইট (উচ্চতা) কম ছিল। তাই বেশি আম ধরেনি। এবছর প্রতিটি গাছে তিন থেকে পাঁচ কেজি করে আম আছে। আমি এবছর চারবার আম পাবো।
তিনি আরও বলেন, এটি মৌসুমি জাতের আম নয়। এই আম সুস্বাদু ও মিষ্টি। বাজারে চাহিদাও বেশি। এই আম অনেকটাই কাঁচামিঠা আমের মতো। কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। তবে কাঁচামিঠা আম পাকলে তেমন স্বাদ নেই, কিন্তু ‘কাঠিমন’ আম মিষ্টি হয়। কেজিতে ৪ থেকে ৫টি আম ধরে।
রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাসান ওয়ালিউল্লাহ জানান, থাইল্যান্ড থেকে আসা এই আম নিয়ে আমাদের এখনও গবেষণা চলছে। সরাসরি মাঠে চলে গেছে আমের গাছ।
আমরা এবার দেখছি, চেষ্টা করছি রোগ বালায় ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কেমন। তিনি আরও বলেন, মৌসুমি আম না হওয়ায় চাহিদা বেশি। তার উপরে স্বাদ ভালো।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়