মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২০
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বারবার গণজমায়েত থেকে দুরে থাকার কথা বলা হলেও, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে গোদাগাড়ী হাটপাড়ায় বসেছে চাল,ডাল,গম,সবজিসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালে হাট। করোনা প্রতিরোধের নিয়ম না জানা গ্রাম থেকে হাটে আসা এসব মানুষের জমায়েতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন সচেতনমহল।
জানা যায়, সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার উপজেলার হাটপাড়া বাজারে জমজমাট ভাবে এই হাট বসে থাকে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা জুড়েই গণজমায়েত হয় এমন ধরনের হাট বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে হাটপাড়া বাজারে সকল ধরনের হাঁট চলমান আছে।
জানা যায়, আজ মঙ্গলবার ব্যাপক জনসমাগমের মাধ্যমে হাটপাড়া হাট চলছে। অথচ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলার সকল হাট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত গণজমায়েত হয় এরকম হাট বন্ধ থাকবে। কিন্তু গোদাগাড়ীর হাটপাড়ায় দেখা যায় বিপরীত চিত্র। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কারণ, প্রতিকার ও তার প্রতিরোধের উপায় জানিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে মাইকিং, প্রচার প্রচারণা। অথচ গোদাগাড়ীর হাটপাড়ায় বসা হাটে হাঁচি-কাশি, থুতু ফেলা, হাত মেলানা, জড়িয়ে ধরাসহ বন্ধ নেই সংস্পর্শে আসার কোন কিছুই। এতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণের। তবে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও জীবিকার তাগিদেই এসেছেন বলছেন ব্যবসায়ীরা। তারা হাট বন্ধের বিষয়ে কোনো ধরনের নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী পৌর মেয়র মুনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, হাট বন্ধ থাকার পরেও বসে গেছে । আমরা মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে হাট বন্ধ করে দিয়েছি।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, হাটপাড়া হাটে গণজমায়েতের কথা শুনে আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তাৎক্ষনিক হাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে আমরা সবাইকে সচেতন করেছি এবং গণজমায়েত কমিয়েছি।
হাটের ইজারাদাররা জানিয়েছেন, তারা সরকারী ভাবে নিষেধ থাকার করণে হাট বসাইনি কিন্তু দূর থেকে আসা ব্যবসায়ীরা নিজে থেকেই বসে গেছে তবে মসজিদে মাইকিং করে হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স/সা
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়