বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২০
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ছাড় করা এই অর্থের পরিমাণ আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১.১৬ শতাংশ বেশি, আর সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৩৯ শতাংশ বেশি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য ৬৫৪ কোটি ডলার ছাড় করেছিল ঋণদাতা সংস্থাগুলো। আর সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭১০ কোটি ডলার ছাড় করানোর লক্ষ্য ঠিক করেছিল।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ফরেন এইড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব পিয়ার মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত অর্থবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন কম হয়েছে। তাই বৈদেশিক অর্থের ছাড়ও কম হওয়ার কথা ছিল।
“কিন্তু মহামারীর সঙ্কট থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য দাতা সংস্থাগুলো সরকারকে বাজেট সহায়তা হিসেবে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই অর্থ দ্রুত ছাড় করায় এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক অর্থ ছাড় হয়েছে।”
ইআরডির হালনাগাদ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গেল অর্থবছরের শেষ মাস জুনেই ২০৩ কোটি ৪৬ লাখ ডলা ছাড় করেছে ঋণদাতা সংস্থাগুলো। তার আগে মে মাস পর্যন্ত ছাড় হয়েছিল ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। জুন মাসের অর্থ ছাড়ের ওই পরিমাণ এক মাসের হিসেবেও বাংলাদেশের রেকর্ড।
পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৫০ কোটি ডলার, বিশ্ব ব্যাংক ২৫ কোটি ডলার এবং এশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক (এআইআইবি) ২৫ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
“এই অর্থের বেশিরভাগটাই জুন মাসে ছাড় হয়ে গেছে। তাই বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ে এভাবে উল্লম্ফন ঘটেছে।”
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুরো ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ৯৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের ঋণ-সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মে মাস পর্যন্ত প্রতিশ্রুতির অংক ছিল ৪৩৫ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। আর কেবল জুন মাসেই রেকর্ড ৫১৯ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি আসে।
দাতাদের কাছে পুঞ্জিভূত যে দেনা জমেছে, তার মধ্যে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার গত অর্থবছরে পরিশোধ করেছে সরকার। তার আগের অর্থবছরে পরিশোধ হয়েছিল ১৫৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
সে হিসাবে গেল অর্থবছরে দাতাদের পাওনা পরিশোধের পর নীট বৈদেশিক অর্থ এসেছে ৫৬৭ কোটি ৯১ লাখ ডলার।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়