শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১ মে ২০২১
রাজশাহীতে হঠাৎ করেই কমে গেছে ডিমের দাম। ডিমের দাম কমলেও বাড়েনি চাহিদা। বেশি দামে কিনে রাখা ডিম নিয়ে এখন পড়েছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা। এছাড়া খামারিরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আজ শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের ডিমের দামই হালিপ্রতি ৪ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কমার পরেও চাহিদা না বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পরেছেন।
তাঁরা বলছেন, পর্যাপ্ত ডিম মজুদ আছে। কিন্তু বিক্রি হচ্ছ না। এতে অতিরি গরমে ডিম নষ্ট হবার আশঙ্কা করেছেন তাঁরা। বাজারে এখন সাদা ডিমের দাম কমে কমে ২২ টাকা হালি হয়েছে। এছাড়াও কমেছে লাল ডিমসহ দেশী মুরগী ও হাঁসের ডিমের দাম। এই সপ্তাহে ৬ টাকা কমে লাল ডিমের হালি হয়েছে ২৬ টাকা। তবে কোয়েলের ডিম হালি প্রতি ২ টাকা কমে হয়েছে ১০ টাকা। দেশী মুরগীর দাম কমেছে ৫ টাকা করে।
কিছুদিন আগেও ৫৫ টাকা হালি হলেও এখন ৫০ টাকা হালিতে কিনেতে পারছেন ক্রেতারা। দাম কমেছে হাঁসের ডিমেরও। হালিপ্রতি ১২ টাকা কমে দাম হয়েছে এখন ৪০ টাকা।
নগরীর সাহেববাজারের ডিম ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখন ডিমের দাম অনেক কম। তারপরও মানুষ ডিম কিনছে না। শহরের বিভন্ন মেসগুলো বন্ধ থাকার কারণে ডিমের চাহিদা কমে গেছে। আগে প্রতিটি মেসেই খাবারে ডিম দেওয়া হতো। তখন চাহিদা অনেক বাড়ে। এখন মেস বন্ধ থাকায় ডিমের চাহিদা নেই। তাই ডিম নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরাই বিপাকে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি গোদাগাড়ী থেকে ডিম নিয়ে আসি। দুই ভ্যানে ১ হাজার করে ডিম থাকতো। একদিনেই বিক্রি হত। কোন বার দুই দিন লাগত। তবে এখন ডিম ১৫ দিনেও শেষ হচ্ছে না।
এদিকে ডিমের পাশাপাশি দাম কমেছে বিভিন্ন ধরনের সবজিরও। করলা, বেগুন, বরবটি ও শসা ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। পটল ৫ টাকা কমে ২৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা কমে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সবজির পাশাপাশি দাম কমেছে বিভিন্ন ধরেনের মাছেরও।
ইলিশ ৫০০-৮০০ টাকা, শোল ২৫০, পাবদা ৩০০, তেলাপিয়া ১২০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। নগরীর সাহেববাজারে এসছিলেন বাবর মাহমুদ। তিনি বলেন, সবকিছুর দামই এখন অনেকটা কমেছে। খুব অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়