রোববার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ||
মাঘ ২৩ ১৪২৯
|| ১৪ রজব ১৪৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
শেখের বেটি হাসিনা। কেউ সম্ভোধন করেন ‘বড়বোন’। কেউ বা ‘আপা’। আবার প্রবীণদের কাছে ‘মেয়ে’। আর নবীনদের কাছে ‘প্রিয় অভিভাবক’। তবে সবকিছু ছপিয়ে তিনি আওয়ামী পরিবারের সকলের কাছে ‘প্রিয় নেত্রী’। দিনবদলের অগ্রগামী এই মহিয়সী নারী আওয়ামী রাজনৈতিক পদচারণায় ৪১ বছর ধরে নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের মধ্যে দলেকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। দীর্ঘ ৫ বছর পর আগামী ২৯ জানুয়ারি তিনিই আসছেন রাজশাহীতে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজশাহীতে সম্ভাব্য শেষ সফরও এটিই। আর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই সফরকে সার্থক ও সফল করতে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে একযোগে মাঠে কাজ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
দলের ছোট্ট-খাটো অভ্যান্তরীণ দন্দ ছাপিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উপলক্ষ করে আওয়ামী লীগের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার প্রচেষ্টা ও একধরনের প্রতিযোগিতায়ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে সর্বত্রই। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলালীগ, কৃষকলীগ, তাঁতিলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপীতম সংগঠনের জেলা, মহানগর, ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিট পর্যায়ের সকল নেতা-কর্মীকেই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করার প্রচেষ্টায়।
এরইমধে শিক্ষা, সুবজ, রেশম নগরীর বিলবোর্ড থেকে শুরু করে সর্বত্রই ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনী স্বাগত বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে সাধারণ মানুষের স্মৃতি আওড়াচ্ছেন বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-প্রচারপত্রবিলি, মাইকযোগে প্রচারণা, ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো, মিছিল-মিটিং-শো’ডাউন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে আরও চাঙ্গা করতেই মূলত প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এই সফর। এই সফরে সকল পর্যায়ের নেতারা নিজেদের যোগ্য প্রমাণের এক রকম প্রচেষ্টা যেমন আছে, তেমনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রকাশও আছে। নেতা-কর্মীদের মাঝে অভ্যান্তরীণ যত-যাই থাকুক না কেন, এক জায়গায় গিয়ে সবাই এক। যার নেতৃত্ব আজ বিশ্ব স্বীকৃত। দেশবাসীর ভরসার জায়গা। আর সেই জায়গা থেকে নিজেদের মধ্যে এতোদিন যে ছোট-খাটো ভুল-ত্রুটিগুলো ছিলো তা শুধরিয়ে নিয়ে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস নিয়ে নেতা-কর্মীরা এক যোগে কাজ করছে।
জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নাসরিন আক্তর মিতা বলেন, রাজশাহীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি আসছেন, যিনি একাধারে দেশের প্রধানমন্ত্রীও। আর নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ নির্বাচনী সমাবেশও। এটাকে সামনে রেখে সকল নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন। আর নিজেদের মধ্যে যে অভ্যান্তরীণ মতবিরোধ রয়েছে, এগুলো হুট করে দূরীভূত হওয়ার বিষয় না। তবে এই সমাবেশ সকল কিছুর উর্ধ্বে।
তিনি বলেন, রাজশাহী এখন সুন্দর-সবুজ ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে সকলের কাছে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এই নগরীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে। পূর্বের যে কোন সমাবেশকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়বার এই সমাবেশে তাই কর্মীদের উচ্ছ্বাসটা ভিন্নমাত্রার।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে চমক সৃষ্টি করেছে। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী তারই কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠন উচ্ছ্বাসের সঙ্গে কাজ করছেন। ৭ লক্ষ মানুষের সমাগমের যে টার্গেট নিয়ে আমরা কাজ করছি, যেখানে সকল নেতা-কর্মীর উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণ আছে। যার প্রতিফলন আগামী ২৯ জানুয়ারি ঐতিহাসিক মাদ্রাসামাঠে হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এর সাবেক উপাচার্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল খালেক বলেন, শেখ হাসিনা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং রাজনীতিবীদ এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো কিছু নেই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেমন সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়েছে; তেমনি দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্ব এরশাদের মতো স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে অভ্যুথান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। দেশের সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে উন্নত দেশের দিকে নিয়ে এসেছে। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের দুর্নাম ঘুচেছে। সেই শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৫ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন। এটাতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভিন্নমাত্রার উচ্ছ্বাস থাকবে এটা স্বাভাবিক। আর একারণেই অতীতের চেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বেগবান হয়েছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়