শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২০
অগ্রাহায়নের প্রথম দিন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় হয়েছে নবান্ন উৎসব। উপজেলার চৈতন্যপুরে প্রতিবারের মত এবারো সোমবার বিকেলে আয়োজন করা হয় বর্ণিল উৎসবের। স্থানীয় কৃষক মনিরুজ্জামান এ আয়োজনের উদ্যোক্তা।
সাঁওতাল রমনী ও পুরুষদের ধান কাটার প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের আনুষ্ঠিকতা শুরু হয়। বিকেলে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান নবান্নে ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি নিজেও কাস্তে হাতে মাঠে নামেন ধান কাটতে। স্থানীয় সুধিজনদের নিয়ে সেখানে আয়োজন করা হয় নানা নৃত্য, সঙ্গীতসহ নানা অনুষ্ঠানের। সেখানে বাংলার নবান্ন উৎসবের আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মঞ্জুর হোসেন। অতিথি ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামশুল হক।
এর আগে মাঠে বাংলার কৃষক বেশে ধান কাটার কাস্তে, মাথায় মাথইল, ঘাড়ে লাল গামছা বেঁধে ধানের জমিতে ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়। এই সময় এক আনন্দঘন মুহুর্ত সৃষ্টি হলে হাসি আর মজার আমেজ উঠে আসে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, বরেন্দ্রর রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাপাইনবাবগঞ্জ পুরোদমে আমন কাটা-মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। সবখানে শুধু ধান কাটার দৃশ্য।
রাজশাহী কৃষি বিভাগ জানায়, রাজশাহী জেলায় এবার আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষাবাদ হয় ৭৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। তবে দফায় দফায় বন্যায় জেলায় ৪৭০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এরই মধ্যে ক্ষেত থেকে কৃষকের উঠোনে উঠতে শুরু করেছে সোনালী আমন ধান। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে পিঠা-পায়েস তৈরীর ধুম। কৃষি বিভাগ বলছে, এবার গড় ধানের উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়