শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২২
দেশের সকল অনিবন্ধিত ক্লিনিক-হাসপাতাল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই প্রেক্ষিতে অনিবন্ধিত ক্লিনিক-হাসপাতালের তালিকা প্রস্তুতের কার্যক্রম শুরু করেছে রাজশাহী সিভিল সার্জন দপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, রাজশাহী জেলায় অনিবন্ধিত কতটি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে তার হিসেব তাদের কাছে নেই। তবে তারা নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই উপজেলাসহ নগরীতে এই সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ শুরু করেছেন। তবে নিবন্ধন না নিয়ে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাচ্ছে এমন সংখ্যা রাজশাহীতে তেমন নেই।
তিনি জানান, অনেক ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নিবন্ধন নবায়ন করেন নি। অনেকে আবেদন করেছেন। যারা নিবন্ধন নবায়ন করেন নি এবং আবেদনও করেন নি তাদের তালিকা প্রস্তুত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এখন রাজশাহীতে নিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তার কাছে নেই। পরবর্তীতে জানাতে পারবেন।
এদিকে বাংলা ট্রিবিউন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সময়ের মধ্যে ক্লিনিক বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মো. বেলাল হোসেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৫ মে) অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবিরের নেতৃত্বে এ নিয়ে একটি সভা হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত সব সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করার কথাও বলা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সুপারভিশন ও মনিটরিং কার্যক্রম নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মোট ৪টি সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো হলো: আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করলেও নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য সময়সীমা প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেসিয়া প্রদান ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়