বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাঠে মাঠে আমন ধানে সোনালী রঙে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে রোপা আমন কাটা ও মাড়াই। ধান ঘরে তোলায় প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণিরা।
তানোরে মাঠের ধানে সোনালী রঙ ধরার সাথে সাথে কৃষকরাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন স্বপ্নের সেই ফসল ঘরে তোলার। অন্য বছরগুলোতে কৃষকরা ধানের দামে তেমন খুশি না হলেও এবছর দাম ভালো থাকায় এবং বাম্পার ফলনের আশায় চোখে মুখে খুশির ঝিলিক ও উৎফুল্লতা নিয়ে কৃষাণ-কৃষাণি বাড়ির আঙিনা ও আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন।
কৃষকরা বলছেন, এবছর আবহাওয়া অনূকুল থাকায় এবং পানির ঘাটতি না থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। সেই সাথে বর্তমানে বাজারে ধানের যে দাম রয়েছে তাতে লাভ হবে কৃষকদের। অতীতের যে কোন বছরের চেয়ে এ বছর কৃষকরা অধিক ফলন পাবে বলে আশা করছেন।
ফলে, কৃষকরা খুশি মনে রোপা আমন ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কৃষকরা জানান, ধানে পাক ধরার সাথে সাথে ইঁদুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন পোকা মাকড় দমনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। ব
র্তমানে কারেন্ট পোকা ও পচন রোধে ধানে কীটনাশক ব্যবহার করার পাশাপাশি ইঁদুরের উপদ্রবে ইঁদুর মারার ব্যবস্থাও করতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে আমন চাষে খরচ বাড়লেও ফলন ও দামে পুষিয়ে যাবে।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলায় এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৪৩৫ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৩৮৭হেক্টর জমিতে।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলাম বলেন, এবার রোপা আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় শতভাগ জমিতে লাইভ পার্চিং করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৯০ ভাগ জমিতে সঠিক বয়সের চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রায় ৮০ ভাগ জমির ধান সারিতে রোপণ করা আছে।
তিনি আরও বলেন এ বছর উপজেলার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। মাঠে ফসলের সার্বিক অবস্থা ভালো, মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিয়মিত কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদান করছেন।
এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কৃষক সমাবেশ, উঠানবৈঠক, ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে এবার রোপা আমন ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়