শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২০
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপির জন্য অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন বলে দাবি করছেন দলটির নেতারা। এ কারণে তারা যে কোন মূল্যে ঢাকা সিটি নির্বাচনে জয়ী হতে চায়। নির্বাচনে জয়ী হতে মরণ কামড়ের অংশ হিসেবে দলটি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে জয়ী হতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর গুলশানের বাসায় দফায় দফায় গোপন বৈঠকে বসছেন ষড়যন্ত্রকারীরা। আর সেখানে ছক আঁকা হচ্ছে, কিভাবে সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সরকারকে চাপে ফেলা যায়।
এর অংশ হিসেবে ২২ জানুয়ারি রাত ৮টায় বিএনপির একটি অংশ আবদুল আউয়াল মিন্টুর গুলশানের বাসায় এক জরুরি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত হন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা কাজী রুম্মান দস্তগীর। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে তার বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টিকে সন্দেহজনক এবং এর পরিণতি ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অনুষ্ঠেয় ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে আমেরিকান দূতাবাসের এত আগ্রহ কেন? নিশ্চয় তাদের স্বার্থ হাসিল করবার জন্যই তারা এতো আন্তরিক হয়ে বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে তৎপর। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তেল-গ্যাস ক্ষেত্রে তাদের একক দখলদারিত্বের লোভে এমনটা করছে। সঙ্গে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। তাকে দিয়ে রাজনৈতিক দল সৃষ্টির নামে তারা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পাঁয়তারাও করা হয়েছিল অতীতে। কারণ তারা সরকারের সঙ্গে কোনভাবেই পেরে উঠছে না। তাই নিজেদের লোক বসিয়ে যে কোন ভাবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একটি স্বার্থান্বেষী অংশ।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি রাতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর গুলশানের বাসায় বসে গোপন বৈঠক। সেখানে যোগ দেন ড. কামাল হোসেন থেকে শুরু করে সাবেক এমপি ও সাবেক রাষ্ট্রদূতরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যে কোন মূল্যেই সিটি নির্বাচনে জয়ী হতে হবে, সেটা বিশৃঙ্খলা করে হলেও।
একটি সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সঙ্গে তাবিথ আউয়ালের গোপন সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিজের রাজনৈতিক অপরিপক্বতা ঢেকে সিটি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ফন্দি আঁটছেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না, এতে পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে তাদের হাতে। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই এমনটা করছেন, যেটা তাবিথ পরে বুঝতে পারবেন। আর তখনই অনুধাবন করতে পারবেন, মানুষ ভুল থেকেই শেখে।
দফায় দফায় বৈঠকের বিষয়ে তাবিথের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, এত স্পর্শকাতর ও গোপন বৈঠকের বিষয়ে আমার বাইরে বলা নিষেধ। তাই বলতে হচ্ছে, আমার কাছে কোন তথ্য নেই।
‘আমেরিকার সুবিধা’ নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ফর্মুলার বিষয়ে তাবিথ আউয়ালের মুখোমুখি হওয়া হয়। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয়। সবাই চায় কোনো না কোনোভাবে নেতৃত্বের স্বাদ নিতে। তাই আমি যদি কোনো পথ অনুসরণ করেও থাকি, তবে তা নিশ্চয় দোষের কিছু নয়।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়