শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২
আজ ১২ নবেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল দিবস। ১৯৯৬ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ রহিতকরণ বিল পাসের মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্টের স্বাঘোষিত খুনীদের দায়মুক্তির অবসান ঘটেছিল।
এ প্রসঙ্গে আইন বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, এই দিনে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল হয়, যার মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়। জাতি হয় কলঙ্কমুক্ত।
যেসব দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজও পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের আমরা ধরতে সমর্থ হবো এবং তাদের রায় দ্রæত কার্যকরের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসা যাবে। আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর খন্দকার মোশতাক আহম্মেদ রাষ্ট্রপতি হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর হত্যার ১ মাস ১০ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর খুনীদের বাঁচানোর জন্য সংবিধান পরিপন্থী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নাই যে, তাদের সংবিধানে লেখা নাই খুনীদের বিচার কার যাবে না।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীদের বাঁচাতেই কালো আইন করা হয়। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। জাতীয় সংসদের আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিল বাতিলের জন্য দি ইনডেমিনিটি রিপিল্ এ্যাক্ট -১৯৯৬ নামে একটি বিল উত্থাপন করেন। ১৯৯৬ সালের ১২ নবেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের পথ প্রশস্ত হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ নবেম্বর ইনডেমনিটি বিল বাতিলের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়। বিচারিক আদালত ও উচ্চ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। যার মধ্যে ৬ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। একজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা গেছে। বাকি ৫ জন এখনও বিদেশে পলাতক রয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়