শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০
ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এসএসসির পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর পেরিয়ে গেছে দুমাসেরও বেশি সময়। এতোদিনে স্কুলের গণ্ডি পেরুনো শিক্ষার্থীদের কলেজে ক্লাস করার কথা থাকলেও করোনার ধাক্কায় ছন্দপতন। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হলো একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম।
এসএসসির ফলাফল প্রকাশের ৭০ দিনের মাথায় গতকাল রোববার শুরু হলো এইচএসসিতে ভর্তির কার্যক্রম। অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। দেরিতে হলেও কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বস্তি পান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
কিন্তু আবেদন শুরুর প্রথম দিনই তাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে ইন্টারনেটের গতি। গতকাল সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গতি কমে আসে ইন্টারনেটের। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েন আবেদন করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা।
নগরীর সাহেববাজার এলাকায় একটি কম্পিউটারের দোকানে ভর্তির আবেদন করতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ইন্টারনেটের গতি নাকি খুব কম। বার বার চেষ্টা করেও হচ্ছে না। আরেক শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকবার চেষ্টার পর তার আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধে।
কম্পিউটার অপারেটর জাহিদুল ইসলাম বলেন, সার্ভারের খুব সমস্যা। একটি সার্ভারে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীর আবেদনের চেষ্টার কারণে সার্ভার খুব ভারি হয়ে গেছে। তার সঙ্গে ইন্টারনেটের ধীরগতি। এ কারণে আবেদন সম্পন্ন করতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোকবুল হোসেন অবশ্য সার্ভারের সমস্যা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সার্ভারের সমস্যা নেই। ইন্টারনেটের গতি কম থাকার কারণেই একটু সমস্যা হতে পারে। তবে টাকা পরিশোধে কোন সমস্যা হয়েছে বলে তিনি শোনেননি।
চেয়ারম্যান জানান, অনলাইনের আবেদনের কারিগরি বিষয়টি দেখভাল করে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (বুয়েট)। তাই এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন না।
তবে আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে তিনি শুনেছেন প্রথম দিনই রাজশাহী বোর্ডের প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। বিভাগের আট জেলা থেকে এবার দুই লাখের কিছু বেশি শিক্ষার্থী এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন নেয়া হবে। ২৫ আগস্ট রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে।
এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
এরপর ৫-৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ৭-৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ সেপ্টেম্বর।
১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর রাত কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। আর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে হবে।
এখন একজন শিক্ষার্থী ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারছেন। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, দ্রুতই যেন শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। তবে কবে নাগাদ শুরু হচ্ছে ক্লাস-পরীক্ষা, তার উত্তর জানা নেই কর্তৃপক্ষেরও। তারা বলছেন, সবই নির্ভর করছে করোনার সার্বিক পরিস্থিতির ওপর।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়