মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ৪ ১৪৩০
|| ০৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯
পেয়ারা প্রিয় নয়, আমাদের দেশে এমন মানুষ খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশি ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা অতিপরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এ ফলের পুষ্টিগুণ অনেক। কাঁচা ও কচকচে পেয়ারার ভর্তা তো আছেই, তার সঙ্গে পেয়ারার জেলি নানাভাবে খাওয়া যায়। শুধু ফলই নয়, পেয়ারা পাতায়ও রয়েছে নানা ভেষজগুণ। বহুগুণী এ পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আজকের এ ফিচার।
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' এবং 'এ'। একটি পেয়ারায় মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে চারগুণ বেশি ভিটামিন 'সি' রয়েছে। একটি লেবুর তুলনায় ১০ গুণ বেশি ভিটামিন 'এ' রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামও রয়েছে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের লিপিড কমে।
পেয়ারায় (চংরফরঁস মঁধলধাধ) পটাসিয়াম থাকায় নিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিতভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমে। পেয়ারায় লাইকোপিন, ভিটামিন 'সি' ও কোয়ারসেটিনের মতো অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোস্টেট এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। চায়নিজ চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার ব্যবহার হয়ে আসছে। পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারার পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে এক কাপ গরম পানিতে ১ চা-চামচ মিশিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে রেখে তার পর ছেঁকে নিয়ে পান করলে ভালো হয়। পেয়ারার কচিপাতা বেটে ফোঁড়ায় বাহ্যিকভাবে ব্যবহারের রীতি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। পেয়ারায় বিদ্যমান ভিটামিন 'এ' চোখের জন্য উপকারী। এটি কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। এসব ছাড়াও পেয়ারার আরও অনেক গুণ রয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়