বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
রাজশাহী-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু। 'আত্মঘাতী হামলার মাস্টার মাইন্ড' হিসেবেই তিনি অধিক পরিচিত রাজনৈতিক বোদ্ধাদের কাছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের গণসংযোগে নিজেদের লোক দ্বারা হামলা করিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর উপর দায় চাপাতে চেয়েও, শেষ পর্যন্ত ফোনকল ফাঁস হওয়ায় নিজ কৃতকর্মে ভরাডুবি হয় বিএনপি প্রার্থীর।
সাবেক মেয়র এবং বর্তমানে ধানের শীষের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুর দুর্নীতি আর নাশকতার লিস্টটিও লম্বা। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মিজানুর রহমান মিনু ও তাঁর স্ত্রী সালমা শাহাদতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। দুদকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, মিনু ও তাঁর স্ত্রী দুদকে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে মোট প্রায় তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।
এছাড়াও, মিনু তাঁর সম্পদের বিবরণীতে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়ি পুনর্নির্মাণ বাবদ এক লাখ ৯৩ হাজার ৯১৬ টাকা ব্যয় গোপন করেন। রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরীর ১৭ শতক জমি ইজারার মালিকানাও গোপন করেন তিনি। তাঁর সম্পদের বিবরণী অনুযায়ী জ্ঞাত আয়বহির্ভূত দুই কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৬০২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। তাঁর স্ত্রী জ্ঞাত আয়ের অতিরিক্ত ৭১ লাখ ১০ হাজার ১১০ টাকা ৯১ পয়সা অবৈধভাবে অর্জন করেন। পদ্মা আবাসিক এলাকায় বাড়ি নির্মাণ বাবদ তিন লাখ ৪০ হাজার ৬১১ টাকার তথ্য গোপন করেন।
এছাড়া নাশকতার রাজপুত্র খ্যাত মিজানুর রহমান মিনুর নামে রয়েছে নাশকতার ছয় মামলা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা কমিটির প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যে কজনের নাম বলেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মিজানুর রহমান মিনু। রাজশাহীতে পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যার অন্যতম প্রধান আসামিও এই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়