শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২০
বিশ্বের শতাধিক দেশে আগুনের লেলিহান শিখার মতো কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার মানুষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে। চার হাজার ৪৯১ জন এ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন। মহাদেশ থেকে মহাদেশে যখন কোনো সংক্রামক ব্যাধি মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তখন ওই রোগটিকে প্যানডেমিক বা বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে গণ্য করা হয়। কোভিড-১৯-কে সে বিবেচনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যানডেমিক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। করোনার কোনো ভ্যাকসিন নেই। কভিড-১৯-এর জটিলতা থেকে নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে। তাই বলে গুজবে কান দিয়ে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতে যাবেন না। নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন শুধু বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষের রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কোনো কুসংস্কার, অমূলক ধারণা নয়; বরং আসুন করোনাভাইরাসকে যুক্তির আলোকে মোকাবিলা করি। ১. করোনাভাইরাস বিশালাকৃতির ভাইরাস, যার কোষের প্রস্থ ৪০০-৫০০ মাইক্রোমিটার। সুতরাং যে কোনো মুখোশ, যেটা এই আকারের বস্তুকে প্রতিহত করতে পারে, সেটা ব্যবহার করলেই হবে, বিশেষ ধরনের মুখোশের খোঁজে বাজার গরম করার প্রয়োজন নেই। ২. ভাইরাসটি বায়ুবাহী নয়, আকারে বড় ও ভারী বলে এটা মাটিতে পড়ে থাকে। এ জন্য ফ্লোর সাবানপানি অথবা ক্লোরিনযুক্ত পানি দিয়ে পরিস্কার রাখুন। ৩. করোনাভাইরাস যখন ধাতব কোনো পৃষ্ঠের ওপর পড়ে, তখন এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। কাপড়ের ওপরে পড়লে ৯ ঘণ্টা, সরাসরি শরীরে লাগলে ১০ মিনিট পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তাই সাবান এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে জামাকাপড়, শরীর পরিস্কার করলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব। ঘরে ফিরে প্রতিদিনের কাপড় আলাদা করে গরম পানিতে সাবান সহকারে ধুয়ে ফেলুন। ৪. যদি ভাইরাসটি ২২-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চলে আসে তবে এটি মারা যাবে, কারণ এটি গরম অঞ্চলে বাস করে না। এ ছাড়া গরম পানি খেলে এবং সূর্যের আলোয় থাকলে করোনাভাইরাস কার্যকর হতে পারে না। গরম পানি খেলে ভাইরাসটি নষ্ট হয়ে যায় কিনা সে সংক্রান্ত কোনো সঠিক উপাত্ত বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। কেননা চায়নিজরা প্রতিনিয়ত গরম পানি বা গ্রিন টি পান করে থাকে। তারপরও তারা করোনার হাত থেকে রক্ষা পায়নি। ৫. আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন এবং ঠান্ডা আবহাওয়া পরিহার করুন। ৬. উষ্ণ-লবণ পানিতে প্রয়োজনে আয়োডিন সহকারে গরগরা করুন। মুখগহ্বর সে ক্ষেত্রে জীবাণুমুক্ত থাকবে। ৭. যে কোনো সমাবেশ- ধর্মীয় বা সামাজিক হোক তা যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলুন। মনে রাখতে হবে দক্ষিণ কোরিয়া আর ইরানে ধর্মীয় সমাবেশ থেকেই প্রাথমিকভাবে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছিল। এ জন্য ওই দেশগুলোর সরকার জনগণকে বড় ধরনের সামাজিক আর ধর্মীয় সমাবেশে যাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেছে। ৮. আপনার সন্তান যদি কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে তাকে স্কুলে প্রেরণে বিরত থাকুন। আপনি বা আপনার পরিবারের কোনো সদস্য যদি কোনো ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে বা জনসমক্ষে যাওয়া থেকে নূ্যনতম সময়ের জন্য বিরত থাকুন। ৯. যত্রতত্র থুথু ফেলা, পানের পিক ফেলার মতো বদভ্যাস ত্যাগ করুন। ১০. সম্ভাব্য করোনা রোগীর সংস্পর্শে এলে বা আপনি যদি কোনো স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে করোনা রোগীর সেবা দিয়ে থাকেন, তবে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে রোগ প্রকাশের সময়কাল ২-১৪ দিন বিধায় দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইন সময়কাল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়