মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২১
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাটে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জমে উঠেছে অনলাইন জুয়া। ক্রিকেট নিয়ে অনলাইনের এই জুয়া খেলা নিয়ন্ত্রণ করছে তিন জুয়াড়ির একটি সিন্ডিকেট।
কো-অপারেটিভ কোম্পানীর মার্কেটিং, খাবার হোটেল ও মুদির দোকানের আড়ালে চলছে অনলাইনে ক্রিকেট জুয়ার বাজি। এতে সর্বশান্ত হয়েছেন এলাকার প্রায় অর্ধশত যুবক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উজ্জল শাহ নামের এক যুবকের বাড়ি নওগাঁ সরদ উপজেলায়। তিনি বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেন্টাইল ব্যাংক কো-অপারেটিভ কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসার। তিনি মার্কেটিং কাজে কাঁকনহাটে যাওয়া আসা করেন। তার এই মার্কেটিংয়ের আড়ালে সেখানে গড়ে তুলেছেন জুয়ার সিন্ডিকেট।
এলাকায় তিনি জুয়াড়ির মধ্যে বিভিন্ন জুয়ার সাইট দিয়ে থাকেন। এতে তিনি এলাকায় বাজিগার নামে পরিচিত। তিনি হাজারে ২৫০ টাকা কমিশন নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর অনলাইন জুয়ার সাইট বিলি করে থাকে। তাকে স্থানীয়ভাবে সহযোগি করেন রাজ্জাক ও বাপ্পি নামের দুইজন।
জানা গেছ, রাজ্জাকের কাঁকনহাট বাজারের মুদির দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আড়ালে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন জয়ার আসর। উজ্জলের কাছে থেকে বিভিন্ন বাজির সাইট নিয়ে এলাকার যুবকদের কাছে ছড়িয়ে দেয়া তার কাজ। এতে তিনি হঠাৎ করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছে। তার কাছে জুয়া খেলে সর্বশান্ত হয়েছে এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যুবক।
বাজিগার উজ্জল শাহর আরেক হ্যন্ড বাপ্পি। বাপ্পি খাবারের হোটেল রয়েছে বাজারে। খাবার হোটেল ব্যবসার আড়ালে সেখানে চলে এলাকার যুবকদের জুয়ার আড্ডা। সেখানে চলে লাখ লাখ টাকার জুয়া। এলাকার ১৫ থেকে ২০ জন যুবক নিয়মিত সেখানে গিয়ে জুয়া খেলে। যাদের অনেকেই ইতোমধ্যেই সর্বশান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে একজন রুবেল।
রুবেল বাজি খেলে তাদের কাছে প্রায় ১০ লাখ টাকা হেরে দিশেহারা। এছাড়া মনিরুল, বুলু, মিনারুল, হাসানসহ অনেক যুবক এখন সর্বশান্ত। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের সহায়তা চান এলাকাবাসী।
অনলাইন এসব জুয়াড়ি সাইটের মধ্যে বাজি ডটকম, থ্রি সিক্সটি ফাইভ ডটকম, বেট থ্রি সিক্সটি ফাইভ ডটকম ও বিভিন্ন ভারত থেকে পরিচালিত জুয়ার সাইট।
এ বিষয় জানতে উজ্জল শাহ এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কোন অনলাইনে জুয়া খেলিনা’’। তিনি আরও বলেন, ‘‘বন্ধুরা যদি খেলে তাদের সাথে সময় দিলে কি জুয়া খেলা হয়’’ পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখার আলম জানান, অনলাইনে জুয়া খেলা একটি বড় অপরাধ। কেউ যদি অনলাইনে জুয়া খেলে থাকে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা হবে। কাঁকনহাটে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়