শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২
শরতের স্নিগ্ধতায় ভরপুর এখন পদ্মার চর। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চর এখন পরিনত হয়েছে কাশবনে। চোখ-ধাঁধাঁনো কাশফুলের শুভ্র-স্নিগ্ধতা সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পদ্মার ঢেউ আর কাশফুলের আলোড়ন মিলে ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা।
রাজশাহী নগরীসহ উপজেলাগুলোর পদ্মার পাড় ঘেঁষেও কাশফুলে ছেয়ে গেছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর নদীর পাড় গুলো যেমন- পদ্মা গার্ডেন, টি-বাঁধ, আই বাঁধ, মুক্তমঞ্চসহ পাউবোর ট্রি-গ্রোয়েনে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের ঢল নামছে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নগরীর নদীর পাড়গুলো ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি নৌকা দাঁড় করানো রয়েছে। মাঝিদের হাঁকডাকে মুখরিত চারপাশ। নগরীর পঞ্চবটি এলাকা থেকে টি-বাঁধ পর্যন্ত নৌকা ভ্রমণের সঙ্গে শুভ্র কাশফুলের ছোঁয়া নিতে অনেক ভ্রমণপিপাসুই এখানেই আসছেন। মুক্তমঞ্চ ও সীমান্ত নোঙরের পাশে খুব সহজেই প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার সুযোগ মিলছে।
কাশবনে অবসর সময় কাটানোর জন্য অনেকেই ছুটে আসছেন নদীর পাড়ে। তেমনই এক দম্পতি আরিফ-মেঘলা। তারা জানান, আরিফ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। খুব একটা ছুটি পান না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাসা থেকে তারা ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। পদ্মার পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। নৌকায় ভ্রমণ করেছেন। এখন পদ্মায় পানি বেশি। তাই তাদের কিছুটা ভয় করছিল। তবে ঘুরতে খুবই ভালো লেগেছে তাদের। তাদের ছোট্ট মেয়ের হাতে কাশফুলও দেখা যায়।
রাজশাহী সিটি কলেজের শিক্ষার্থী হাফিজ জানান, মাঝে মাঝেই পদ্মার পাড়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে আসেন তিনি। পদ্মার পাড়ের বাতাস, বাতাসে কাশফুলের ঢেউ, বিকেলে প্রকৃতির ভিন্ন এক রূপ। এগুলো নিমিষেই মন ভালো করে দেয়। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে কাশবনের মাঝে ছবি তুলেছেন তারা। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের স্মৃতির ওয়ালেও তা ধরে রেখেছেন।
পদ্মার পাড় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করেন রাজিব আহমেদ। তিনি জানান, সারা বছর নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বাদাম বিক্রি করেন। পদ্মার মাঝে কাশফুল ফুটলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। এখন বিকেলের চিত্র দেখলে মনে হবে হয়তো কোনো উৎসব চলছে। একারণে তার বেচাবিক্রিও ভালো।
কাশবনে অবসর সময় কাটানোর জন্য অনেকেই ছুটে আসছেন নদীর পাড়ে। প্রেমিক যুগল থেকে শুরু করে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে উৎকৃষ্ট সময় কাটানোর জন্য কাঁশবনকে বেছে নিয়েছে নগরবাসী। সেই সাথে দেখা যাচ্ছে সেলফি তোলা ও ভিডিওগ্রাফির প্রতিযোগিতা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়