শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২২
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কেশরহাট শাখায় প্রতারিত নারী গ্রাহকের খোয়া যাওয়া টাকা এখনো উদ্ধার হয়নি। উল্টো নারী গ্রাহককের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
উলেক্ষ, গত ৬ এপ্রিল (বুধবার) সকালে উপজেলার কেশরহাট মহল্লার লালচান সরদারের স্ত্রী ইসলামী ব্যাংকের কেশরহাট শাখায় এসে নিজ নামীয় একাউন্ট হতে ৭৫ টাকা উত্তোলন করে গুণে বুঝে নেয়ার সময় সময় তিন সদস্যের একটি প্রতারক চক্র খুচরা টাকা বড় নোট করে দেওয়ার কথা বলে ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়েন। এসময় ভুক্তভুগি নারী ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অবহিত করেন। থানায় অভিযোগ দায়ের হলে বিষয়টি ব্যাংকের সিসিটিভি ভিডিওতে এধরণের ঘটনার সত্যতা পায় থানা পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে অপরাধী চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী গ্রাহক জানান, আমি ১০ এপ্রিল রবিবার ব্যাংকে গিয়েছিলাম। এসময় আমার খোয়ানো টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের ম্যানেজার বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নিয়েছে আপনার ছেলে। এজন্য এবিষয়ে তদন্ত করতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। সংবাদ প্রকাশ না হলো আপনাকে কিছুটা সহযোগিতা দেওয়া যেত।
ইসলামী ব্যাংক কেশরহাট শাখার (এফএভিপি) প্রধান কর্মকর্তা মো. সেরাজুল ইসলাম বলেন, সেদিন আমি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিদর্শন করছিলাম। তবে সন্দেহজন কিছু বোঝা যায়নি। পরে ভুক্তভুগি ও-ই নারীর মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সিসিটিভিতে প্রতারকদের দেখা গেলেও পরিচয় সনাক্ত হয়নি।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই পারভেজ জানান, ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছি এবং পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে ফুটেজ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত অপরাধীদের সনাক্ত করা বা খোয়ানো টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়