বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
জনজীবনের ঝুঁকি এড়াতে গোলচত্তর জরুরী। সুনজর পড়েছিল সংশ্লিষ্ট বিভাগের। প্রতিশ্রুতি ছিল গোলচত্তর হবে। তবে দুই যুগ পেরিয়ে গেছে। জনসাধারণের স্বপ্ন আজও বাস্তবায়ন হয়নি। পুনরায় দাবী তুলেছেন স্থানীয় সর্বসাধারণ।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী-নওগাঁ জেলার ব্যস্ততম মহাসড়কের কেশরহাট অন্যতম একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। আর এ বাজারে ঘিরে স্থাপিত হয়েছে কেশরহাট পৌরসভা।
এ হাটে মধ্য ভাগে অবকাশ হোটেলের সামনে মিলিত হয়েছে চারটি সংযোগ সড়ক। ফলে একদিকে মহাসড়ক হিসেবে অধিক যানবাহনের চাপ অন্যদিকে বাজারের চারপাশ ঘিরে রয়েছে পাঁচটি কলেজসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক, এনজিও প্রতিষ্ঠান।
যানবাহনের চাপ সামাল দিতে বেসামাল হয়ে পড়ে ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও শনি ও বুধবার স্থানীয় হাটবার ছাড়াও প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এজন্য ১মিনিটের রাস্তা পারাপারের সময় কেটে কয়েক ঘন্টা।
বিকল্প সড়ক না থাকার কারণে দ্রুত বাজার পার হতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কেশরহাটে গোলচত্তর নির্মাণের দাবী ভাইরাল হয়েছে।
কেশরহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউসার, জাহিদ আফজাল, রাজু, রায়হান, নেয়ামতসহ কয়েকজন বলেন, এখানে অনেক দিন থেকে এমন এলোমেলো যান চলাচল দেখে আসছি, কিন্তু গোলচত্বর না হওয়ায় যানজটের ভোগান্তি কাটছে না। জরুরী ভাবে এখানে স্বপ্নের গোলচত্বর বাস্তবায়ন করে কেশরহাটের প্রকৃত রূপ প্রদানের জন্যে আকুল আবেদন করছি।
এ ব্যাপারে কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ জানান, কেশর হাটে গোলচত্তর জরুরী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী নওগাঁ হতে রাজশাহী ফেরার পথে কেশরহাটে জনসাধারণের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এখানে তিনি গোলচত্তর স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কোন একটা সময় গোল চত্তর হবে এটায় আসা ভরসা।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়