শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে জমে উঠেছে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরের হাট। সৌখিন ও সখের পেশা হিসেবে কবুতর পালনে উৎসাহী হয়ে উঠছেন যুব সমাজ। হাত খরচের অর্থ সংকুলান করতে লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা কবুতর পালনে আগ্রহী হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে আজ শনিবার দুপুরে কেশরহাট পৌর চত্বরের ভিতরে কবুতর হাঁটায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাবিক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে কবুতরের হাট। নানা রং ও নানা প্রজাতির কবুতরের খাঁচায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে চাহিদা অনুযায়ি এ খাঁচা ওখাঁচা ঘুরে কিনছেন পছন্দের কবুতর।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন জালালি, গোলা, গিরিবাজ, লোটন, গোবিন্দ নামের স্থানীয় জাতের চাহিদা বেশি। এর পাশাপাশি উন্নত জাতগুলোর অনেক দামের কারণে বেচাকেনা অনেকটা কম হয়।
ছোট বাচ্চা ছাড়া অন্য কবুতরের দাম রয়েছে ১০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। লকডাউনের কারণে মানুষ বেকার থাকার কারণে অনেক মানুষ কবুতর পালনে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ হাঁটের আনিস নামের একজন কবুতর ব্যবসায়ী বলেন, কেশরহাট অত্র অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম কবুতরের হাট। তবে এখানে অনেক বেশি দামের কবুতর বিক্রি হয় কম। ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা জোড়ার কবুতর বেচাকেনা খুব বেশি। আমি প্রায় ২০ বছর ধরে কবুতরের ব্যবসা করে আসছি। সম্প্রতি অনেকটায় বেড়েছে কবুতর পালন।
নুর আলম নামে একজন কবুতর ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে কবুতর পালন করছি। পড়ালেখা শেষ করেছি। এখনও হয়নি চাকরি। বাপের কাছ থেকে টাকা চাইতে পারিনা তাই বাড়িতে কবুতর পালন করি। অনায়াসে চলতে পারি। কবুতর পালন একটি লাভজনক ও জনপ্রিয় পেশা হিসেবে মনে করেন তিনি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়