শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২০
প্রমাণিত দুর্নীতি মামলায় দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে কারান্তরীণ রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অথচ এই দীর্ঘ সময়েও তার মুক্তি নিয়ে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে লক্ষণীয় কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। উপরন্তু তার আইনজীবীদের অনাগ্রহতা দেখিয়ে গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার মুক্তি চেয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। অথচ এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তিনি জানেন না বলেই ‘লোক দেখানো’ খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেললেন।
রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
এ সময় তিনি বলেন, দেশে জি কে শামীমের মত কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে জামিন দেয়া হচ্ছে। অথচ খালেদা জিয়া জেনুইনলি জামিন পাচ্ছেন না।
মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের পর অনলাইন দুনিয়ায় ছি ছি রব পড়ে গেছে। ফখরুলের নির্বুদ্ধিতার কথা উল্লেখ করে মন্তব্যকারীরা বলছেন, প্রথমত জি কে শামীম সাবেক যুবদল নেতা। দ্বিতীয়ত, বোকার মতো মির্জা ফখরুল তার মতো এমন দুর্নীতিগ্রস্তের সঙ্গে কী করে খালেদা জিয়ার তুলনা করেন? তার মানে ফখরুল স্বীকার করেই নিয়েছেন, তার দলের নেত্রী দুর্নীতিগ্রস্ত। তাহলে কেনো ‘লোক দেখানো’ খালেদা মুক্তির আন্দোলন? নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য?
দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, খালেদার মুক্তির ইস্যুতে দল ও পরিবারের মধ্যে একটা বিরাট দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। কোন পক্ষই কারো মতামতের প্রাধান্য দিচ্ছেন না। এমনকি ব্যাপারটির সুরাহা কোথায়, তা নিয়েও নেই তাদের মাথাব্যথা নেই। এমতাবস্থায় বিএনপির শাসনামলের অপ্রতিদ্বন্দ্বী তদবির বাণিজ্যকারী ও খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার সরকারের কাছে খালেদা মুক্তির আবেদন করের। তবে সেটা হয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের পূর্ণ অগোচরে। আর বিষয়টি নিয়ে বেশ মনঃক্ষুণ্ণ তিনি। তার মতে, খালেদা মুক্তির ব্যাপারে অন্তত দলের মতামত নেওয়া উচিত। কারণ সবাই নেত্রীর অনুগত। তাই সবাই বিএনপি এবং নেত্রীর ভালো হয়, এমন সিদ্ধান্তেই উপনীত হবেন।
এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নিজের নেত্রী সম্পর্কে ধারণাটি ভুল নয়। তিনি আসলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। যেটা ইতোমধ্যে দুর্নীতি মামলায় প্রমাণিত হয়ে গেছে। তাই ফখরুলের মন্তব্য নতুন কিছু নয়, বরং এটা শুভ সংবাদ-বিএনপি নিজেদের পাপকর্মের অকপটে স্বীকার করে নিতে শুরু করেছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়