শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২০
দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে প্রমাণিত দুর্নীতি মামলায় কারাভ্যন্তরে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও তার মুক্তি নিয়ে জোরালো কোন পদক্ষেপ নেয়নি দল ও তার পরিবার। এ কারণে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া খালেদা জিয়া বাধ্য হয়ে নিলেন নিজের দোষ স্বীকারের সিদ্ধান্ত, যাতে সহজেই মেলে কারামুক্তি।
এ কারণে তিনি তার বোন সেলিমা ইসলামের মারফৎ কৌশলে আলোচনা সারেন কারামুক্তির বিষয়ে। যারই প্রতিশ্রুতিতে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ ও কারাগার থেকে মুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।
আর এতে পর্দার আড়ালে থেকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন যুগিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খবরটি লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পৌঁছলেই শুরু হয় আস্ফলন। তিনি বিষয়টিকে ফখরুলের ঔদ্ধত্য বলে মন্তব্য করেন।
লন্ডনভিত্তিক একটি সূত্র বলছে, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে দলীয় আইনজীবীদের আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে মূলত তাগিদ দিয়েছিলেন তারেক রহমান। আদালতের পাশাপাশি রাজপথের লড়াই চালিয়ে নেত্রীকে মুক্ত করতে পারলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবে বিএনপি, এমন যুক্তি থেকে তারেক সরকারের অনুকম্পা ছাড়াই নেত্রীকে মুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
কিন্তু বেগম জিয়ার বয়স ও বিএনপিতে তার গুরুত্ব বিশেষ করে বিএনপির নির্বাচনের রাজনীতিতে খালেদার গুরুত্ব অনুধাবন করে মির্জা ফখরুলদের মতো বেগম জিয়াপন্থী কিছু নেতা যেকোন উপায়েই নেত্রীর মুক্তির জন্য নানা জায়গায় তদবির করছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ফখরুল একাধিকবার আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়।
এবং বৈঠক শেষে বলেছেন কোনভাবেই যেন জনসম্মুখে তার নাম প্রকাশ করা না হয়। তবে হ্যাঁ, এটা অসত্য নয় যে- এই কাজে তার পূর্ণ সমর্থন আছে এবং এটি তিনি যে কোন মূল্যেই করবেন।
এদিকে ফখরুলের এই কর্মকাণ্ডের কথা ইতোমধ্যে তারেক রহমানের কানে পৌঁছে গেছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে মির্জা ফখরুলের উপর শাস্তির খড়গ নেমে আসবে, সেটি সহজেই অনুমেয়।
বিশ্বস্ত আরেকটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এতো বড় একটি রাজনৈতিক দলের সম্মান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ করার এই অপপ্রয়াসে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারেক। সরকারের অনুকম্পায় বেগম জিয়া মুক্তি পেলে আজীবন বিএনপিকে গঞ্জনা শুনতে হবে এবং দল ও নেত্রীর দুর্নীতির অভিযোগগুলো প্রমাণিত হবে। ফলে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি ছিটকে পড়তে পারে-এমন শঙ্কায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
নেত্রীর মুক্তির আড়ালে ভুল করে আইনজীবী ও মির্জা ফখরুলরা দলের যে ক্ষতি করেছেন সেটি অপূরণীয় মনে করছেন তারেক। তাই আগামীতে যেন দল ও নেত্রীকে নিয়ে কেউ কোন রকম অযাচিত কার্যকলাপের সাহস না পায় সেজন্য মির্জা ফখরুলকে উচিত শিক্ষা দিবেন তারেক, এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়