বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
একাদশ জাতীয় সংসদের দুই বছর পূর্তি ও গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে।’ এই স্লোগনে বুধবার বিকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজয় সহজে আসেনি। আমাদের যে বিজয়, সেই বিজয়কে সংহত করার জন্য আজকের দিবস আমরা পালন করছি। আর এই বিজয় যাতে না থাকে সেই জন্য রাজাকার, আলবদর, বিএনপি, জামায়াত সেদিনও তৎপর ছিলো, আজও তৎপর আছে।
তাদের নাম যাই হোক আগে ছিলো মুসলিম লীগ, তারপরে নেজামে ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী, হেdvজতে ইসলামী, জেএমবি বা যেই নামেই হোক না কেন তাদের শেকড় কিন্তু একটাই তা হলো বিএনপি। এরা বাংলাদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে কখনই বিশ্বাস করে না।
লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বিএনপি ভেবেছিলো তারা যা বলবে, তাই ঠিক। বাংলাদেশে কেউ জয় বাংলা বলবে না, কেউ জয় বঙ্গবন্ধু বলবে না। তারা ভেবেছিলো জিয়াউর রহমান যা বলবেই তাই হবে। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া যা বলবে, তাই হবে। এই ভেবে তারা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা পারেনি। এ দেশের মুক্তিকামী মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে দেশের তরে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবীত হয়ে তাদের সন্তানদেরকে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো।
বিএনপি-জামায়াতকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জনগণ আপনাদেরকে প্রত্যাখান করেছে। তাই আপনারা রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে বেছে নিয়েছেন, আপনারা রাজপথে আসুন। আমরা আপনাদেরকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদশের জনগণের সামনে বিভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। তিনি বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলার গ্রাম পর্যন্ত শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছেন। দেশের চিকিৎসা সেবা আজ আগের মতো নাই, চিকিৎসা সেবা আজ ব্যাপক উন্নত হয়েছে। পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান হয়েছে, বছরের শুরুতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে, দেশের তরুণ বেকারদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্ম-কর্মস্থান সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটাই হলো গণতন্ত্রের বিজয়। তিনি আরও বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে, বিতর্ক সৃষ্টি করবে, রাজশাহীতে তাদের স্থান হবে না।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কৃষি সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল প্রমুখ।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়