বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
পানি নিষ্কাষণের নালা দখল করে নেওয়ায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার অন্তত ৩০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়ির ভেতরে-বাহিরে হাঁটুপানি জমে থাকায় এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে মহল্লাবাসী আবেদন করলেও লাভ হয়নি।
গোদাগাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাদারপুর খড়বোনা এলাকাটি এভাবে পানিবন্দী রয়েছে। পানি নামার নালা দখল করে নেওয়ায় মহল্লার একটি কবরস্থানও পানিতে ডুবে গেছে। এলাকার এক ব্যক্তি নালার মুখ বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণ করায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে তাঁরা পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে মাদারপুর খড়বোনা মহল্লার পানি এলাকার একটি নালা দিয়ে পদ্মা নদীতে নেমে যেত। কিছু দিন আগে ওই নালার মুখ দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন মো. বাবু নামের এক ব্যক্তি। এই দোকানের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ড একটি গোয়াল ঘরও করেছেন তিনি। অথচ জায়গাটি রেলের সম্পত্তি। অন্তত ৩০ বছর আগে থেকেই এখান দিয়ে মহল্লার পানি নেমে যেত নদীতে। এখন আর সেটি হচ্ছে না।
এর ফলে ২০ দিনের বেশি সময় ধরে বৃষ্টির পানিতে পানিবন্দী হয়ে আছে অন্তত ৩০টি পরিবার। এ দুর্ভোগ লাঘবের জন্য এলাকার বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এবং ইউএনও’র কার্যালয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়ির চারপাশে পানি, ভেতরে পানি। নামাজটাও পড়তে মসজিদে যেতে পারি না।’ তিনি জানান, ‘নালা দখলকারী বাবুর কাছে গিয়ে নালার মুখ দখলের প্রতিবাদ করলে মারব-ধরব করে। ভয়ে কেউ তাঁর কাছে যেতে পারি না। আমাদের এই দুর্ভোগ দেখার এখন কেউ নেই। কাউন্সিলর ফোন ধরেন না। বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায় না।’
এলাকার আরেক বাসিন্দা সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়ির চারপাশের বাগান, পায়খানা- সব ডুবে গেছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এখন আতঙ্কে থাকি। স্কুলের চারপাশে পানি। গোরস্থানের ভেতরে পানি। কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। এখন পানি ভেঙে বাড়িতে ঢুকতে-বের হতে হচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হলে নালা দখলের বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি মো. বাবু। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম মনিরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ধরেননি।
পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মুহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নাই। দেখতে হবে। দেখলে বলতে পারব। তবে এ রকম পানি জমে থাকলে নিষ্কাষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়