বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩
নিবন্ধন পাচ্ছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ‘পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি’। শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে ‘পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি’টি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি গণগন্থাগারের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা।
জানা গেছে, ‘পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি’ প্রতিষ্ঠাতা এনাতুল্লাহ মাস্টার ব্রিটিশ আমলে (১৯৪৫) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রায় ৭৭ বছর আগে বাড়ির পাশে ২ শতক জমির ওপর গড়ে তোলেন এই লাইব্রেরিটি। প্রথম অবস্থায় অল্প কিছু বই ছিল। আর লাইব্রেরিটি একটি মাটির ঘরে ছিল। লাইব্রেরিটিতে মোট তিনটি কক্ষ রয়েছে। একটি কক্ষ থেকে অন্যটিতে যাওয়ার দরজা রয়েছে। মাঝের কক্ষটি অফিস। প্রত্যেক কক্ষে রয়েছে জানালা। দুটি কক্ষের ভেতরে রয়েছে টেবিল ও বেশ কিছু কাঠের আলমারি। কোনোটিতে আবার স্টিলেরও রয়েছে। আলমারিজুড়ে থরে থরে সাজানো রয়েছে বই। একেকটি ঘরে কমপক্ষে ১০-১২টি করে আলমারি রয়েছে। তার সবগুলোই বইয়ে ঠাসা। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল দেয়ালে বেশ কিছু গুণী মানুষের ছবি। ছবিতে দেশি-বিদেশি কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, বিখ্যাত মনীষীরাও রয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি গণগন্থাগারের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা আরো বলেন, গোদাগাড়ীর পানিহার এলাকায় বেশ পুরোনো একটি গ্রন্থাগার, ‘পানিহার পাবলিক লাইব্রেরি’। এ লাইব্রেরি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একজন জ্ঞানানুরাগী ও শিক্ষক এনায়েত উল্লাহ। লাইব্রেরিটি রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে। একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন করা হলো নিবন্ধন দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, ভাবতে অবাক লাগে ৭৭ বছর আগে এরকম নিভৃত এলাকায় কিভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একজন মানুষ এরকম মহৎ কাজটি করেছিলেন। প্রকৃত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গ্রন্থাগারটি এখন আগের মতো জৌলুশ হারিয়েছে। আরো অবাক করার বিষয় এখনও তৎকালীন সময়ের বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা ও সাময়িকী সংরক্ষিত রয়েছে যা আজও অনেক গবেষকের গবেষণার খোরাক যোগাচ্ছে।
পানিহার পাবলিক লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি গণগন্থাগারের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা স্যার সরেজমিনে আমাদের লাইব্রেরি পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি লাইব্রেরি পরিদর্শন করে সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়