বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২২
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। দুইপক্ষের বাড়ির ভিটা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি ও মামলার ক্ষেত্রে গোদাগাড়ী থানা ও কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ তুলেছেনন আবদুল গাফফার নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামে।
আবদুল গাফফারের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে তাঁর ভাই আবদুল খালেকের বিরোধ। খালেকের ছেলে মো. ওয়ালিদ পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি করার কারণে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ তাঁর পক্ষ নিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন গাফফার। রোববার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন আবদুল গাফফারের ছেলে ইয়ামিন আলী। তিনি জানান, তার বাবারা চার ভাই। তার দাদার মৃত্যুর পর ওই চার ভাই দাদার সম্পত্তি বাটোয়ারা করে নেন। বর্তমানে তারা যে বসতবাড়িতে থাকেন সে জায়গাটি হাতিয়ে নিতে ২০০৯ সাল থেকে তার চাচা আবদুল খালেক প্রচেষ্টা শুরু করেন। ২০১২ খালেকের ছেলে ওয়ালিদ পুলিশে চাকরি পেলে জমি দখল করতে তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওয়ালিদ বিভিন্ন সময় গোদাগাড়ী থানা ও কাঁকনহাট ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যদের অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন জমি দখল নিতে। এরই মাঝে ভুক্তভোগী পরিবারের সম্পত্তির একটি অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন পুরো সম্পত্তি দখল নিতে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রবেশ পথে গবাদী পশুর বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে।
শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ওয়ালিদ কিছু দুর্বৃত্ত পাঠিয়ে জমি দখল নিতে ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গফুরের ছোট ছেলে আহত হলে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উল্টো আব্দুল গাফফারের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়।
ইয়ামিন আলী দাবি করেন, তার বাবা আব্দুল গাফফারকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে ও স্বশরীরে গুম করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন পুলিশ সদস্য ওয়ালিদ। এ বিষয়ে তারা পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইয়ামিন।
জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল মো. ওয়ালিদ বলেন, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ। গ্রামের সবাইকে নিয়ে সালিশের মাধ্যমে আমরা যে অংশটুকু পেয়েছি, সেটুকু দখলে নেওয়া হয়েছে। এর বেশি একটুও না।’ গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওসি স্যার না থাকায় আমি দায়িত্বে। এ বিষয়গুলো আমি বিস্তারিত জানি না। তবে কেউ পুলিশ সদস্য হলেই যে বাড়তি সুবিধা পাবেন বিষয়টা তেমন না।’
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়