বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সাঁন্তাল বিদ্রোহের মহান নেতা সিধু-কানহুর আত্মত্যাগ ও ১৬৭তম সাঁন্তাল ‘হুল’ বা বিদ্রোহ দিবস। এই দিনে সাঁন্তাল-কৃষক-জনতা ব্রিটিশ শাসক ও তাদের এদেশীয় দালাল, মহাজন, জমিদার শ্রেণির কবল থেকে স্বাধীনতা ও মুক্তির আকাঙ্খায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন।
তাদের এই সংগ্রামকে সিসিবিভিও-রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনসমূহ গভীরভাবে স্মরণ করে। ব্রেড ফর দি ওয়ার্ল্ড-জার্মানীর সহযোগিতায় দিবসটি স্মরণে সিসিবিভিও-রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে এবং ৩৫টি রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনসমূহের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন করা হয়।
রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রসেন এক্কার সভাপতিত্বে গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয় শহিদ মিনারে পুস্প স্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি সিসিবিভিও শাখা কার্যালায় রাজাবাড়িহাট থেকে শুরু হয়ে রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয় শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অতিথিসহ রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনসমূহের বিভিন্ন জনজাতির ১৪০জন নারী-পুরুষ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক ও ফেস্টুনে সজ্জিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিসিবিভিও’র সিনিয়র হিসাবরক্ষক এএইচএম তারিক, গোদাগাড়ী উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী কৃষ্ণ কুমার সরকার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিসিবিভিও’র প্রদীপ মার্ডী, সবিতা রানী হেম্ব্রম, সৌমিক ডুমরী, নিরঞ্জন কুজুর, গড়ডাইং রক্ষাগোলা সংগঠনের মোড়ল সুধীর সরেন।
বক্তাগণ বলেন,“মহান সান্তাল বিদ্রোহ ছিল ভারতবর্ষে বৃটিশ কোম্পানী শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংগ্রাম যার স্লোগান ছিল ‘লড়ো না হয় মরো, ইংরেজ আমাদের মাটি ছাড়ো, আমার দেশ আমার শাসন’। বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী বান্ধব সরকার। ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠীর সমস্যাসমূহ ও নির্যাতন প্রতিরোধে সকলকে একতাবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আহŸান জানান।”
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাহাবুদ্দিন সিহাব, ইমরুল সাদাত, সুদক্ষন টপ্প্য, ভবেশ লাকড়া, প্রেমচাঁদ এক্কা, কাথারিনা হাঁসদা, মানিক এক্কা, রঞ্জিত সাওরীয়া, রাজকুমার বারোয়ারসহ অনেকেই। আলোচনা সভাটি সঞ্চালন করেন সিসিবিভিও’র প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মো: নিরাবুল ইসলাম।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়