শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২০
দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫০ বছর পরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বীর বিক্রম আব্দুল খালেকের মৃত্যুর পর নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী মাসুরা বেগমের হাতে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে নৌবাহিনীর কমান্ডার মঞ্জুর এই চেক হস্তান্তর করেন। তিনি খুলনা থেকে এসেছিলেন। আব্দুল খালেক নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রীর হাতে চেক হস্তান্তরের সময় উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আক্তারসহ স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। নৌবাহিনীর কমান্ডার মঞ্জুরসহ তারা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের কবর জিয়ারত করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের বাড়ি উপজেলার চাপাল গ্রামে। তিনি ১৯৬৩ সালের ১ জুন নৌবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। ১৯৬৯ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। তিনি সাত নম্বর সেক্টেরে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন।
গোদাগাড়ীর খেতুর গ্রামের শত্রুবাহিনীর একটি ক্যাম্প ধ্বংস করার সময় তাঁর বুকে গুলি লাগে। মুক্তিযুদ্ধে এই অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীর বিক্রম খেতাবে ভুষিত করা হয়।
গত ৩০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার আগে গত ৬ জুন নতুন প্রকাশিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে তার নাম ওঠে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
গেজেট বিভ্রাটের কারণে এতদিন বীর বিক্রম আব্দুল খালেক স্বীকৃতি পানি। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত গেজেটে এক ধরণের ভুল ছিল, ২০০৪ সালের গেজেটে আরেক ধরণের ভুল। প্রথমবার লেখা হলো ‘এক্স নেভী’, পরেরবার সেনাবাহিনী।
তাঁর অফিয়াল নম্বরের শেষে ১৯ এর জায়গায় ভুলবশত লেখা হয়েছে ৯১ যা ছিল পাঞ্জাবী সৈন্যের।
২০১১ সালে জনতা ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঠিকানাবিহীন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে তার বাবার নাম ও নৌবাহিনীর পদবী ও সার্ভিস নম্বর দেওয়া ছিল।
তার ভিত্তিতে তারা গেজেট সংশোধন করার জন্য আবেদন করেন। সে আবেদন মন্ত্রণালয় থেকে হারিয়ে যায়। গত বছর নতুন করে আবার আবেদন করেন।
অবশেষে এ বছরের ২৪ মার্চ খালেকের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাসহ নতুন গেজেট প্রকাশ হয়েছে। জুনে তিনি এই গেজেট হাতে পান। এরপর ২৯ জুলাই রাতে তিনি মারা যান।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়