শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে বিএনপির। এ কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
দলটির নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, নির্বাচন মানেই একতরফা বিনিয়োগ। সঙ্গে রয়েছে পরাজয়ের পর বিভিন্ন মহলে জবাবদিহিতা। সব বিবেচনা করেই তাই নেতাকর্মীরা হাসিমুখে পিছু হটছেন বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চসিক নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের পরস্পর প্রতিযোগিতা ও দৌড়ঝাঁপ নেই। নেই রাজনীতির মাঠেও সামান্যতম উত্তাপ। নির্বাচনী এলাকা ও আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর অধিকাংশই জনমানবশূন্য। এর কারণ দলীয় নেত্রী পরীক্ষিত দুর্নীতির মামলায় কারাভ্যন্তরে থাকায় স্বেচ্ছাচারী ভূমিকায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নেওয়া ভুল সিদ্ধান্তে অতীতের সবগুলো নির্বাচনে ধারাবাহিক পরাজয় হয়েছে দলটির। সঙ্গে রয়েছে দলের সাংগঠনিক ভঙ্গুরতা। সবমিলিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা চাইছেন না, আসন্ন চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজেদের অর্থের সলিল সমাধি ঘটাতে। কারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শুধু শুধু লোকসান না গুনে হাসিমুখে সরে যাবেন।
এ বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে , দৌড়ঝাঁপ যে একেবারে নেই ব্যাপারটি কিন্তু সে রকম নয়। তলে তলে নেতাকর্মীরা ঠিকই তারেক রহমানের দ্বারস্থ হচ্ছেন। চালাচ্ছেন লবিং-তদবির। মূল ব্যাপার হলো, টাকার অংকে যিনি এগিয়ে থাকবেন-তার পকেটেই যাবে মনোনয়নের ইয়েস কার্ড। তবে এসব করে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না প্রার্থীরা। কারণ দলের সিংহভাগ নেতাকর্মীই অথর্ব, কোন কাজের না। আসেন না সভা-সমাবেশসহ দলীয় কোন কর্মসূচিতেও। তাই ইয়েস কার্ড পেয়ে দেওয়া চওড়া হাসি, নির্বাচনে শোচনীয় হারের পর ম্লান হয়ে যাবে। কেননা কর্মী-সমর্থক আর প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনে জয় অসম্ভব।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন চসিক নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের নাম কানাঘুষা শোনা গেলেও সর্বশেষ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে তা বাতিল হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, চূড়ান্ত না হলেও এতোটুকু বলতে পারি-ডা. শাহাদাত হোসেনই চসিক নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে দলের দলীয় নেতাকর্মীরাই নিজেদের প্রার্থীদের ভোট দেয় না, তাদের আর যাই হোক নির্বাচন জয়ের আশা করা উচিত নয়। কারণ নির্বাচনে অংশ নিলেই দেখা যাবে দলের সেই অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতা, প্রকাশ্য হবে নিজেদের সব অপরাগতা। তাই বিএনপিরই এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তাদের কী করা উচিত। আর যদি কেউ এসব জেনেশুনেই বিষপান করতে চায়, তবে এতে লাভবান হবেন তারেক রহমান। ভারী হবে তার পকেট, পক্ষান্তরে পথে বসবেন ওই প্রার্থী।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়