বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
আবুল কালাম আজাদ সনি, চারঘাট
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২০
ফাইল ছবি।
রাজশাহীর চারঘাটে হঠাৎ করেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ মূল্য বৃদ্ধি করছেন। এতে করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। লোকজন প্রয়োজনীয় সামগ্রী দ্বিগুণ দামে ক্রয় করে বাড়িতে সঞ্চয় করছেন। এতে করে আরো মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে চলছে এমন কারসাজি।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে এমন অপপ্রচার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় সকল শ্রেণীর লোকজন প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কিনতে শুরু করেছেন। এর ফলে একধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় এপ্রিল মাসের ১ম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে বাড়াতে থাকে চাল, তেল, পিয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।
চারঘাট বাজারের চাল ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত দুই সপ্তাহে স্বর্ণা, মিনিকেট, জিরা সহ বেশ কিছু চালের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তেল, ডাল সহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়েছে।
সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন বলেন, পেঁয়াজ, আলু, আদা ও রসুনের দাম অস্বাভাবিকভাবে উঠানামা করছে। গত ৭ দিনে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, আদা ও রসুনের দাম কেজি প্রতি প্রায় দ্বিগুন, তেল প্রকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা ও আলুর দাম ৫ টাকা বেড়েছে।
পাইকারী বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে খুচরা এ বিক্রেতা বলেন, আড়তে দাম কম থাকলে আমরাও কম দামে বিক্রি করি। এর জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারী বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাব ও অতিরিক্ত পরিবহণ খরচকেই দায়ী করছেন। এদিকে বেড়ে গেছে শিশু খাদ্য আর গবাদি পশুর খাবারের দাম। কাঁচা বাজারেও একই কাণ্ড। অপরদিকে মাছ মাংস আর ওষুধের দামও বাড়ানো হয়েছে।
উপজেলার কোনো ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক আর জীবানুনাশক হেক্সিসল। দু’একটি দোকানে মিললে দাম দুই থেকে তিনগুণ বেশি। একারণে গতকাল বুধবার সাপ্তাহিক হাটে কেনাকাটা করতে এসে হিমশিম খেয়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। আতঙ্কের কারণে বাড়তি দামেই জিনিসপত্র কিনে বাড়িতে এনে মজুত করছেন সাধারণ মানুষ। এ কারণে দাম আরো বেড়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো গুজব কিংবা আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময়ই চলমান আছে। কেউ অযৌক্তিক দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়