শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২০
রাজশাহীর চারঘাটে চিনি, চিটাগুড়, সোডা, ফিটকিড়ি, আটা ও অন্যান্য কেমিক্যাল মিশিয়ে ভেজাল আখের গুড় তৈরি করা হচ্ছে।জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই গুড় বাজারজাত করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
উপজেলার মেরামাতপুর, গঁওরা, অনুপামপুর ও বনকিশোরসহ একাধিক গ্রামে চলছে এ ভেজাল গুড় তৈরির কর্মযজ্ঞ। কয়েকজন অসাধু গুড় ব্যবসায়ী একাধিক শ্রমিক নিয়োগ করে প্রতিদিন কেমিকেল মিশিয়ে এভাবে গুড় তৈরি করে চলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি ঝুপড়ি ঘরে নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ৫/৬ জন শ্রমিক পৃথক পৃথক ভাবে গুড় তৈরি করছেন। তারা চিনির সঙ্গে চিটাগুড়, সোডা, ফিটকিড়ি, আটা ও অন্যান্য কেমিকেল মিশিয়ে গুড় তৈরি করছেন। চুলার পাশেই অন্ততঃ ৫০ থেকে ৬০ বস্তা চিনি রাখা হয়েছে। এগুলো বড় পাত্রে ঢেলে পর্যায়ক্রমে চুলায় জাল করে কেমিকেল মিশিয়ে শত শত কন্টিনারে ঢালছে শ্রমিকরা।
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে চারঘাট-বাঘার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল গুড় তৈরি করছে। প্রশাসনের অভিযানে কয়েক দফায় চারঘাট-বাঘায় কয়েক হাজার মণ ভেজাল গুড় ধ্বংস করা হয়। প্রশাসনের তৎপরতায় ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা গুলো কিছুদিন বন্ধ রাখলেও নতুন করে আবারও কারখানা গুলো চালু করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দানাদার গুড় উৎপাদনের জন্য পরিপূর্ণ পরিপক্ব আখ প্রয়োজন। উপযোগী জাতগুলো হলো- ঈশ্বরদী ১৬, ঈশ্বরদী ২৬, ঈশ্বরদী ৩০, ঈশ্বরদী ৩৩, ঈশ্বরদী ৩৮। প্রচলিত আখ মাড়াইকলের রস আহরণ ক্ষমতা ৪৫-৫০ ভাগ। বাংলাদেশে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত আখ মাড়াইকলের রস আহরণ ক্ষমতা প্রায় ৬০ ভাগ।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আতিকুল ইসলাম জানান, ‘ক্ষতিকারক উপকরণ দিয়ে তৈরি ভেজাল গুড় মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব গুড় খাওয়ার ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সার, লিভারে পচনসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, ভেজাল ও যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময়ই চলমান আছে। ভেজাল গুড় তৈরির কারিগররা আবারও সক্রিয় হবার চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়