শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২০
রাজশাহীর চারঘাটে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, তেল,পেয়াজসহ শাকসবজি বিক্রয় হচ্ছে চড়া দামে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যথেষ্ট মজুদ আছে। করোনা ভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষনা দেওয়ার পরপরই সাধারন মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অজানা আশংকায় নিত্যপণ্যের বাজারে হঠাৎ করে ক্রেতারা ভিড় জামাচ্ছে। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বাজারে কেউ যদি কোনো নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বললেন ইউএনও সৈয়দা সামিরা।
সরেজমিন উপেেজলার কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে নিত্যপণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে নেই মূল্য তালিকা। দু’মাস আগেও সরকারের প্রত্যক্ষ নজরদারীতে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়সীমায় নেমে আসে। করোনা আতঙ্কে মান অনুযায়ী চালের দাম বস্থা প্রতি বেড়েছে ৩ শত থেকে ৪ শত টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার তেলে খুচরা ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। বেড়েছে শাকসবজির দাম।
গত কয়েকদিনে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা ও আলুর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ রাজাশাহীর খড়খড়ি, সাহেববাজার ও বানেশ^র পাইকারী বাজার থেকে এইসব নিত্যপণ্য পাইকারী ক্রয় করে এনে খোলাবাজারে বিক্রয় করে থাকেন। যোগানের তুলনায় পণ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারের বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে পুজি করে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম এবং অসাধু ব্যবসায়ীরা রাতারাতি বাড়িয়ে দিয়েছে। চড়াও দামের কারণে সীমিত আয়ের মানুষেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা সামিরা বলেন, কোন ব্যবসায়ী যাতে বেশি দামে নিত্যপণ্য বিক্রয় না করতে পারে সে ব্যাপারে বাজারে নিয়মিত মনিটরিংয়ে করা হবে। কেউ বেশী দামে নিত্যপন্য চাল ও পেয়াজ দাম বেশি নেওয়ার কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়