শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
আবুল কালাম আজাদ সনি, চারঘাট
প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০
রোগীশুণ্য চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। করোনা আতঙ্কে গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসকরা না থাকায় রোগী ও স্বজনদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের প্রায় ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চারঘাটের প্রাইভেট হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখতেন। মেডিসিন, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অর্থোপেডিক, সার্জারি, নাক, কান ও গলারোগ, কিডনি, নবজাতক ও শিশুরোগসহ এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না আসায় চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে রোগী ও স্বজনরা। বর্তমানে করোনা আতঙ্কে চেম্বার বন্ধ রয়েছে তাঁদের।
এ ছাড়াও ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আতঙ্কে কমছে রোগীর সংখ্যা। জ্বর, সর্দি, কাশি এলার্জি হাঁপানি ও নিওমোনিয়া ও অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসা যাওয়া প্রায় বন্ধ করোনার ভয়ে। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে শত শত রোগীর ভিড় থাকলেও বর্তমানে নেই রোগীর চাপ। ফলে বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের অধিকাংশ রোগীরা গ্রাম ডাক্তারদের সন্মুখীন হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনী সমস্যা রোগীরাও ভিড় করছেন প্রাথমিক চিকিৎসকদের চেম্বারে। ফলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের উপস্থিতি না থাকায় পল্লী চিকিৎকরাই দিচ্ছেন এসব বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা। চারঘাটের বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বাজারের গ্রাম ডাক্তারদের চেম্বারে রোগীদের ভিড়।
চেম্বারে আসা রোগীরা জানান, চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা গুরুত্ব কম দেওয়া ও প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকায় তাদের বাধ্য হয়ে সেবা নিতে হচ্ছে প্রাথমিক ডাক্তারদের কাছ থেকে। প্রাথমিক ডাক্তারের চেম্বারে আসা রোগীদের দাবি চারঘাটে করোনা আতঙ্কে চিকিৎসক না আসায় আমাদের বাঁচার জন্যই প্রাথমিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া উপায় নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাটে আসা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হাসিবুল হাসান জানান, প্রাইভেট চেম্বারে রোগীরা অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে চায়না। বর্তমানে রাজশাহীতেও রয়েছে রোগীর চাপ, করোনার জন্য বেশী সময় দিতে হচ্ছে। তাছাড়া পিপিই নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্কট তো রয়েছেই। এজন্যই চারঘাটে যাওয়া হচ্ছে না।
গ্রাম ডাক্তার আজিজুল হক জানান, জীবনের ঝুঁকি থাকলেও চোখের সামনে এসব অসহায় রোগীর জন্য যতটুকু জানি প্রাথমিক সেবা দিতে চেষ্টা করছি।
পল্লীচিকিৎসক আব্দুল কাদের বলেন, গ্রামের মানুষ করোনার ভয়ে উপজেলাসহ জেলা হাসপাতালে যেতে চাচ্ছেনা বর্তমান সময়ে। এ জন্য গ্রাম ডাক্তারদের উপর চাপ বাড়ছে।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়