শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০
পাওনা টাকার জন্য চারঘাটে ছয় বছরের শিশু সজনী হত্যা মামলায় আসামি শহিদুল ইসলামকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম এই মামলার রায় প্রদান করেন।
রায়ে আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অর্থ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি চারঘাট থানার বরকতপুর ধর্মহাটা গ্রামের ইমান শাহ এর পুত্র। রায় প্রদান শেষে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, ২০০৩ সালের ২৫ অক্টোবর আসামি শহিদুল ভিকটিম সজনীর পিতা ইন্তাজুলের নিকট পাওনা টাকা চাইতে তার বাড়িতে যান। এ সময় ইন্তাজ বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রীর সাথে শহিদুলের তর্কাতর্কি হয়।
এ সময় আসামি শহিদুল বলে, ‘এমন কাজ করবো টাকা বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসতে হবে।’ এ ঘটনার জের ধরে আসামি বেলা অনুমান ১২ টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সজনীকে তার ‘মামা ডেকেছে’ বলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় সজনী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে এবং শহিদুলকেও তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
পরদিন সকাল ৭ টার দিকে নন্দনগাছী জোত কার্তিক মাঠে আখখেত থেকে সজনীকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে চারঘাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে সজনী জানায়, আসামি ‘শহিদুল তাকে এভাবে মারপিট করেছে’।
এর আড়াই মাস পর সজনীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সজনীর দাদা আফাজ উদ্দিন বাদি হয়ে চারঘাট থানায় মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি ইব্রাহিম হোসেন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়