মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
আবুল কালাম আজাদ(সনি)
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২০
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে চিহ্নিত করার পর থেকেই গোপনে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানে বসবাস করা শ্রমজীবিরা। কোনোভাবেই তাদের আটকানো যাচ্ছে না। ফলে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এখন আতঙ্ক ও সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়িয়েছে এসব মানুষ।
এতে সংক্রামিতের ভয় ও আতঙ্ক-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে সবাই। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পরেও ঠেকানো যাচ্ছে না প্রবেশ। মোড়ে মোড়ে পুলিশি চেকপোস্ট থাকলেও গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করেছেন তারা। তাদের কতজন এলাকায় ফিরেছেন এর সঠিক তথ্যও জানা নেই।
তবে এলাকায় ফেরত ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে খোঁজ খবর নিয়ে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গোপনে ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বসবাস করা শ্রমজীবীরা।
লকডাউন উপেক্ষা করে অনেকেই প্রাইভেটকার ভাড়া নিয়ে কিংবা ট্রাকে চড়ে রাতের আধাঁরে ফিরছেন গ্রামের বাড়িতে। গ্রামে ফিরেই হোম কোয়ারেন্টিন না মেনেই অবাদে ঘোরাফেরা করছেন তারা। পাড়ার দোকান ও হাট-বাজার গুলোতে চলাফেরা করছেন। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেনা কেউ। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রামক বিস্তারে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে গাঢাকা দেওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি।
অনেকেই এলাকায় ফিরে প্রশাসনের ভয়ে আত্মীয়ের বাড়ি অবস্থান করছে। তবে ঢাকা ফেরতদের তেমন ঝুঁকি না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রামনের ভয়ে আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, আমরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের ঘরে অবস্থান করতে বলছি। এ পর্যন্ত যারা এসেছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে, কেউ যদি কোয়ারেন্টিনে না থেকে বাহিরে বের হয় তাহলে তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে।
স/র
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়