বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা গ্রামের কৃষক জলিল সরদার। মাত্র ছয় মাস আগে বাড়ির পাশে পতিত পড়ে থাকা ১০ শতক জমিতে রোপণ করেছিলেন বারি-৪ জাতের ৮০টি আম গাছ।
বছর না পেরোতেই তার প্রতিটি গাছে ঝুলছে চোখ ধাঁধানো সুস্বাদু জাতের সেরা আম। প্রতিটি আমের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম।
এমন আম শুধু তানোরের কৃষক জলিল সরদারের বাগানেই নয়, রাজশাহীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে কয়েক শত কৃষকের বাগানে শোভা পাচ্ছে এমন সুস্বাদু আম। বিশেষ করে অল্প সময়ে বাগান থেকে আম পাওয়া যাবে এমন জাতের আম বাগানের দিকে ঝুঁকছে চাষীরা।
গত কয়েক বছরের রাজশাহী অঞ্চলের, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলায় হাজারো চাষি বাণিজ্যিকভাবে অল্প সময়ের আম বাগান করেছেন। এতে ভালো ফল পাচ্ছেন বলে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন।
আম চাষি জলিল সরদার জানান, মাত্র ৬ মাস আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে ৮০টি গাছ সংগ্রহ করেছিলেন। আমের চারা রোপণের তিন মাসের মধ্যে মুকুল এসেছিল গাছে।
বর্তমানে গাছে প্রচুর আম ধরেছে। প্রতিটি আমের ওজন এখন ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের বিজ্ঞানী কৃষিবিদ জহিরুল ইসলাম বলেন, দেশি নাবি জাত আশ্বিনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সংগৃহীত রঙিন আমের সংমিশ্রণে উদ্ভাবন করা হয় বারি আম-৪ জাত। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে উদ্ভাবিত করেন এ জাতের আম।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শামিমুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, অল্প খরচে ও শ্রমে ধানের চাইতে বারি-৪ জাতসহ প্রভূতি জাতের আম উৎপাদনে লাভ বেশি।
মাটির কারণে তানোরে আম উৎপাদনে বেশ ভালো ফল পাওয়া গেছে। স্বাধেও বেশ ভালো বাজারে চাহিদা বেশি এজন্য উপজেলার চাষিরা এখন আম উৎপাদনে ঝুঁকছেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়