মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২২
নদীর ধারে ছাপরা টিনের বাড়ি। জাড়ে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতেছিনু ন্যা। এখন মা-বিটি আরামে ঘুমাতে পারবো। বসুন্ধরার কম্বলডা জাড়ের হাদ থ্যাকি বাঁচালো। এতোদিন আমাদের দিকে কেউ তাকাইনি। একটা কম্বল পায়েছি, এখন আর শীতে কষ্ট হবে না।’ আজ রবিবার সকালে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণকৃত কম্বল পেয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধা সেফালি বেওয়া।
তাঁর বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর নদীর পাড় এলাকায়। শুধু সেফালি বেওয়াই নয়, গতকাল সকালে বসুন্ধরার কম্বল পেয়েছেন এরকম অসহায় ৫০০ শীতার্ত মানুষ। যাঁদের সকলেই উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে গত দুদিন ধরে বয়ে যাওয়া মৃদ সৈতপ্রবাহের কবলে শীতে প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছিলেন।
গোদাগাড়ীর পিরিজপুর এলাকার পদ্মা পাড়েই গতকাল বসুন্ধরার কম্বল বিতরণ করা হয় শীতার্ত মানুষের মাঝে। অসহায় এই মানুষগুলোর মধ্যে ষাটোর্ধ হযরত আলী বলেন, ‘ ভাঙা কপালে এই সর্বনাশা পদ্মায় হারিয়েছি বাড়ি-ঘর। কোনো মতে একটা খেড়ের ঘরে কাটে জীবন। শীতে ঘরের মধ্যেও ঠান্ডা বাতাস ঢুকে পড়ে। খুব কষ্ট হয় তখন। কিন্তু এতোদিন আমার মতো এই গরীব মানুষের কেউ খোঁজ নেয়নি। আজ বসুন্ধরার একটা কম্বল পাইয়েছি। এখন রাতে শীতের মধ্যেও ভালোভাবে ঘুমাতে পারবো৷
প্রায় নব্বই বছর বয়স্ক রহিমা বেগম নামের এক বৃদ্ধা বলছিলেন, ‘যা জাড় পড়িছে, তার কারণে অনেক কষ্টে আছুন৷ ঘরে পঙ্গু স্বামী। সেও জাড়ে কাঁপে। এখন এই কম্বলডা আমাদের বাঁচাবে।’
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিয়ার রহমান, কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, সমাজসেবক শফিউল ইসলাম মুক্তাসহ সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়