শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২০
দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃত ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে খোদ বিএনপির মধ্যেই সমালোচনা চলছে। এমন ঘটনার সঙ্গে অর্থ লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে বলে দলের ভেতর ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাছিত আঞ্জুকে টাকা দিয়ে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এমন ঘটনা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বলেও জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।
বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিতে মূলত দুটি গ্রুপ রয়েছে, যারা প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি এম এ কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল বাছিত আঞ্জু। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ, সহ-সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রহমান।
মাহফুজের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমানকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ জানান, মাহফুজ যা করেছে, তাতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা উচিত ছিল না। তিনি বলেন, মাহফুজ মূলত এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। দলের পদবাণিজ্যে ভূমিকা আছে তার। তার থেকে ভালো একটি অংশও মাহফুজের পকেটে যায়। এ কারণে বিপুল টাকা দিয়ে সে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করিয়েছেন।
এ ব্যাপারে একই কথা বললেন বিএনপির মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি। তিনি বলেন, এই টাকা লন্ডন অফিস পর্যন্ত গিয়েছে বলে আমরা শুনেছি।
যদিও অপরপক্ষের নেতা এমএ কাইয়ুম জানিয়েছেন, টাকা খেয়েই মাহফুজকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তদন্ত করেই তাকে আবার দলে নেয়া হয়েছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়