শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১২ ১৪৩১
|| ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
মিজানুর রহমান, তানোর
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২০
মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজশাহীর তানোরে সাতটি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বাসিন্দারা যেমন সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা অমান্য করে চলেছেন তেমনিভাবে অমান্য করে চলেছেন উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। যদিও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক থাকার নিদের্শনা রয়েছে।
কিন্তু ৬ এপ্রিল সোমবার পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ইনর্চাজ কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী বাদে কোনো কর্মকর্তাকেই কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। ফলে জনসংখ্যা ও আয়তনের দিক থেকে তানোরে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকারের নিদের্শনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হিমশিমের মধ্যে পড়েছে উপজেলা প্রশাসন।
কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পেলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো তার দপ্তরের কর্মচারী ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে খাদ্যসামগ্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় করোনার প্রভাবে যে সকল কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যায় আছে সে সকল কর্মহীন লোকের মধ্যে রাস্তায় ভাসমান মানুষ, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ব্যক্তি, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিন মজুর, রিকশাচালক, ভ্যান গাড়ি চালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদারসহ যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালায় তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিদিন ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন তিনি নিজে।
সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কর্মস্থলে থাকার নিদের্শনা রয়েছে ঠিকই আর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন বলেন, আমার থাকার প্রয়োজন হয় না। আমার নিজস্ব গাড়ি আছে। তাই আমি শহর থেকেই অফিস করি। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি দফতরের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি বা তাঁদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের থাকার আবাসিক ভবন রয়েছে কিন্তু দু’একজন ছাড়া তানোরে কেউ থাকে না সবই ফাঁকা থাকে।
ইউএনও বলেন, সরকারের নিদের্শনানুযায়ী করোনা মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার বিষয়ে জনপ্রতিনিধিসহ প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশই কর্মস্থলে নেই। তাঁদের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে সহজ হতো। স্থানীয় সাংসদ ও জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করে অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/এমএস
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়