বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২০
রাজশাহীর তানোরে থানায় অভিযোগ করে ছোট ভাইয়ের জমি দখলে নিতে প্রায় ২লাখ ৩০ হাজার টাকার জমির ফসল নষ্ট করেছে বড় ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে গাগরন্দ গ্রামে। এঘটনঅয় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে ছোট ভাই বক্কার বাদি হয়ে বড় ভাই গাফ্ফারসহ ৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ, পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার সিলিমপুর (হাড়দহ) গ্রামের মৃত আলহাজ রমজান আলী মোল্লার ছেলে আবু বক্কার (৪৮) (গাগরন্দ) শিবনা দমদমা মৌজার, জে-এল নং ১১৩, আর এস ক্ষতিয়ান ৩০, প্রস্তাবিত ক্ষতিয়ান ১১০, ৬১নং দাগের ৩৩শতক জমি পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত এবং একই দাগের আরো ২২শতক জমি বক্কার তার মেজ ভাই জব্বারের কাছ থেকে ক্রয় করে খাজনা খরিজ করে ধীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন। বর্তমানে বক্কার ওই জমিতে পটল, মরিচ ও শোষার চাষ করেছেন।
এঘটনায় গত (১২ই জুন) বৃহস্পতিবার বড় ভাই গাফ্ফার বাদি হয়ে ছোট ভাই বক্কারের বিরুদ্ধে জমি জবর দখল করে রাখার অভিযোগ এনে তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় অভিযোগ করে গত (১৫ই জুন) সোমবার বিকালে বড় ভাই সিলিমপুল (হাড়দহ) গ্রামের মৃত রমজান আলী মোল্লার ছেলে আব্দুল গাফ্ফার (৫০) তার ছেলে মুখলেছুর (৩২) এখলাছুর (৩০) ও গাফ্ফারের (মেয়ের শ্বশুর) বেহাই গোদাগাড়ী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মৃত সানাউল্লাহর ছেলে নজির উদ্দিন (৬০) ও গাফ্ফারের (মেয়ের স্বামী) জামাই নজির উদ্দিনের ছেলে হাসান (৩০)সহ আরো ৪/৫জনকে সাথে নিয়ে ছোট ভাই বক্কারের চাষাবাদকৃত জমির পটলের গাছ, মরিচের গাছ ও শোষার গাছ উপড়ে ফেলে দেয়।
এবিষয়ে বক্কার বলেন, তার জমিতে চাষকরা ২লাখ ৩০হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ৩৩শতক ও মেজ ভাইয়ের কাছ থেকে কেনা ২২শতক যা খাজনা খারিজ করে দীর্য়দিন ধরে চাষাবাদ করছি।
তিনি বলেন, আমার বড় ভাই গাফ্ফারও ওই দাগেই তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমি অন্যজনের কাছে বিক্রি করেছেন। এখানে তার কোন জমি নাই কিন্তুগায়ের জোরে হঠাৎ আমার জমির ফসল নষ্ট করে জমি দখল নেয়া চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, আমার জমির ফসল নষ্ট করে উল্টো আমাকেই বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বক্কারের বড় ভাই অভিযুক্ত গাফ্ফার কোন কথা বলতে রাজি না হয়ে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তানোর থানার এসআই লুৎফর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা তানোর থানার এসআই লুৎফর রহমান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়