মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২০
তানোরে বিদেশী ফলের বাগান করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ডক্টর সুবোধ কুমার। তার বাগানের এইসব বিদেশী ফলের গাছ ও ফল দেখতে অনেকেই আসছেন তার বাগান বাড়িতে।
তানোর পৌর এলাকার নিজ গ্রাম আকচা গ্রামে নিজস্ব ৩ বিঘা জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন বিদেশী এসব ফল গাছেন বাগান। অপর দিকে বাড়ির ছাদ জুড়েও শোভা পাচ্ছে দেশি ও বিদেশী ফুল ও ফলের।
ধান, গম ও আলু প্রধান খ্যাত তানোর উপজেলার মাটিতে বিদেশী ফুল ও ফলগাছ চাষ করে সম্ভাবনায় দার খুলে দিয়েছেন ডক্টর সুবোধ কুমার সরকার এমনই মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী। তিনি প্রায় ১২ বছরেরও বেশী সময় ধরে বনজ, ঔষধি ও ফলজ গাছ রোপন করে গড়ে তুছেলেন বাগান বাড়ি।
বাগান বাড়িতে শোভা পাচ্ছে জাপানের পিচফল, ব্রাজিলের চেরী, থাইল্যান্ডের পালামার আম, দার্জিলিং লাল কলমা, তুরস্কের খেজুর, অ্যাভোগ্রেডো, নাসপাতি, আংগুরসহ নানান ফল।বিদেশি ফলের পাশাপাশি বাগানজুড়ে দেশীফলও রয়েছে তার বাগানে।
এর মধ্যে রয়েছে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মালটা, জামরুল, লিচু, পেঁয়ারা ও তিন প্রজাতির জাম। রয়েছে মসলার গাছ লং, দারুচিনি, তেজপাড়া, এলাচ। সেই সাথে ঔষধি গাছ শ্বেতচন্দন, রক্তচন্দন, হরতকি, বহেড়া, তুলশীসহ বিভিন্ন প্রজাতীর ফল ফুল ও ঔষুধী গাছ।
নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ডক্টর সুবোধ কুমার বলেন, ৩ বছর আগে তিনি ঢাকা থেকে পিচফলের গাছ এনে লাগান। গত বছর অল্প সংখ্যক ধরলেও এবার গাছ জুড়ে পিচফল ধরেছে ব্যাপক।
এর মধ্যে অনেক পিচফল গাছে পেকে রয়েছে, আপেলের মতো অনেকটা এই ফল, কিন্তুু আপেলের চেয়েও নরম, মিষ্টি ও রসালো এবং স্বাদ আর গন্ধও দারুণ।
তিনি বলেন, ব্রাজিলের চেরি, থাইল্যান্ডের পালমার আম, দার্জিলিং কমলা এবার অনেক ধরেছে। তিনি বলেন, বরেন্দ্র’র মাটিতে বিদেশী ফল ব্যাপক ভাবে হওয়া সম্ভবনা রয়েছে, এই বাগানই তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মাটিতে বানিজ্যিক ভাবে এসব বিদেশী ফলের চাষ করা হলে বিদেশ থেকে ফল আমদানী করার প্রয়োজন হবে না। তার বাগানে এসে অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন বিদেশী ফল গাছ লাগানোর জন্য।
এ নিয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, বরেন্দ্রের মাটিতে পিচ ফল হওয়া সম্ভব।
তবে, অন্যান্য বিদেশীফল যদি এইমাটিতে ভালো হয় তাহলে এলাকায় সম্প্রসারণের জন্য চাষীদের উৎসায়ীত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়