শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০
রাজশাহীর তানোরে বিদেশি ফলের বাগান করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার।
তার বাগানের বিদেশি ফলের গাছ ও ফল দেখতে অনেকেই আসছেন বাগান বাড়িতে। বর্তমানে বাগানে জাপানের পিচফল দেখতে চমৎকার লাগছে।
তানোর পৌর এলাকার নিজ গ্রাম আকচায় নিজস্ব ৩ বিঘা জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন বিদেশি এসব ফল গাছেন বাগান। অপর দিকে বাড়ির ছাদ জুড়েও শোভা পাচ্ছে দেশি ও বিদেশি ফুল ও ফলের।
ধান, গম ও আলু প্রধান খ্যাত তানোর উপজেলার মাটিতে বিদেশি ফুল ও ফলগাছ চাষ করে সম্ভাবনায় দরজা খুলে দিয়েছেন ড. সুবোধ কুমার সরকার এমনই মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী।
তিনি প্রায় ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বনজ, ঔষধি ও ফলদ গাছ রোপন করে গড়ে তুছেলেন বাগান বাড়ি।
গতকাল আকচা গ্রামে ড. সুবোধ কুমার সরকারের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, জাপানের পিচফল, ব্রাজিলের চেরী, থাইল্যান্ডের পালামার আম, দার্জিলিং লাল কলমা, তুরস্কের খেজুর, অ্যাভোগ্রেডো, নাসপাতি, আংগুরসহ নানান ফলের গাছ।
বিদেশি ফলের পাশাপাশি বাগানজুড়ে দেশিফলও রয়েছে তার বাগানে। এর মধ্যে রয়েছে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মালটা, জামরুল, লিচু, পেয়ারা ও তিন প্রজাতির জাম।
রয়েছে মসলার গাছ লং, দারুচিনি, তেজপাড়া, এলাচ। সেই সাথে ঔষধি গাছ শ্বেতচন্দন, রক্তচন্দন, হরতকি, বহেড়া, তুলশীসহ বিভিন্ন প্রজাতীর ফল ফুল ও ঔষধি গাছ।
নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কমর্রত ড. সুবোধ কুমার বলেন, আমার বাগানে ৩ বছর আগে ঢাকা থেকে পিচফলের গাছ এনে লাগাই। গত বছর অল্প সংখ্যক ধরলেও এবার গাছ জুড়ে পিচফল ধরেছে ব্যাপক।
এর মধ্যে অনেক পিচফল গাছে পেকে রয়েছে, আপেলের মতো অনেকটা এই ফল, কিন্তু আপেলের চেয়েও নরম, মিষ্টি ও রসালো এবং স্বাদ আর গন্ধও দারুণ। এই করোনার সময়ে সবাইকে পুষ্টিজাতীয় ফল খাওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, ব্রাজিলের চেরি, থাইল্যান্ডের পালমার আম, দার্জিলিং কমলা এবার অনেক ধরেছে। বরেন্দ্রের মাটিতে বিদেশি ফল ব্যাপকভাবে হওয়া সম্ভবনা রয়েছে, এই বাগানই তার প্রমাণ।
এ অঞ্চলের মাটিতে বানিজ্যিকভাবে এসব বিদেশি ফলের চাষ করা হলে বিদেশ থেকে ফল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। তার বাগানে এসে অনেকেই উৎসাহিত হচ্ছেন বিদেশি ফল গাছ লাগানোর জন্য।
তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, সুবোধ কুমার সরকারের বাগানটি প্রসংশনীয়। বরেন্দ্রের মাটিতে পিচ ফল হওয়া সম্ভব। সুবোধ কুমারের মত বিদেশিফল রোপনের জন্য এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়