বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২
অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পাচ্ছেন দুর্গাপুর থানার আলোচিত সেই কনস্ট্রেবল (ড্রাইভার) আতিকুর রহমান আতিক। অসীম সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর পুলিশ সপ্তাহে তাঁকে বিপিএম পদকে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বগুড়ার সাজাহানপুর থানায় কনস্টেবল (ড্রাইভার) পদে কর্মরত আছেন।
কনস্টেবল হলেও অত্যন্ত সাহসী ও দক্ষ পুলিশ সদস্য ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ২২জুলাই নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে দুর্গাপুর সদর হোজা নদীর তীব্র শ্রোতে ভেসে যাওয়া তিন শিশুর জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন তিনি। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন সংবাদেপত্রে। সে সময় তৎকালীন পুলিশ সুপার মো: শহিদুল্লাহ তাঁকে নগদ অর্থ, সনদপত্র ও ক্রেস্ট দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। পাশাপাশি দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকেও তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ কনস্ট্রেবল (ড্রাইভার) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর পুলিশ সপ্তাহে বাংলাদেশ পুলিশ পদকে ভূষিত হয়েছি। এটা আমার কর্মজীবনের জন্য অনেক গৌরবের। ভাল কাজ করলে সম্মান পাওয়া যায় তাঁর দৃষ্টান্ত উদাহরণ এটি। তিনি বলেন, পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিকে তাকে পদক পরিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২২জুলাই সকাল দশটার দিকে দুর্গাপুর থানা সংলগ্ন মন্দিরের পেছনে খেলা করছিল ওই তিন শিশু। খেলার ছলে তারা মন্দিরের পেছন দিয়ে বয়ে যাওয়া হোজা নদীতে পা ভেজাতে যায়। উপর্যুপরি বৃষ্টির কারণে ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়েই পানির স্রোত প্রবল বেগে বয়ে যাচ্ছিল। ওই তিন শিশু পানিতে নেমে নদীর মাঝামাঝি ঝুলন্ত ব্রিজের কাছাকাছি যেতেই প্রবল স্রোতে ভেসে যায়। ওই সময় বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকে। অনেকেই দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখলেও কেউ শিশুদের উদ্ধারে এগিয়ে যাননি। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি পুলিশ কনস্টেবল আতিক। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তৎক্ষণাৎ নদীতে নেমে স্রোতে ভেসে যাওয়া তিন শিশুকে টেনে তোলেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়