বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৪ ১৪৩০
|| ১৮ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২০
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়ায় খালে বাঁধ দেয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল আশেপাশের পাঁচটি গ্রামের মানুষ। ক্ষতি হয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলেরও।
স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধ ভেঙে পানি নিষ্কাশনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করলেও সাড়া মিলছিল না। ফলে চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছিলেন পানিবন্দী গ্রামের বাসিন্দরা।
এরই মধ্যে শনিবার (১১ অক্টোবর) পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস। বিষয়টি জেনেই তিনি ঘটনাস্থলে যান।
নির্দেশ দেন বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা নিরসনের। শুধু নির্দেশ দিয়েই দায় এড়াননি, বরং এলাকায় থেকে বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করেই ফিরেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পমপাড়া ও মঙ্গলপাড়া গোড়াগাছী বিলে মাছচাষের জন্য কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন এলাকার প্রভাবশালী মাছচাষিরা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বাগমারার রামরামা গ্রামের মোহন ও স্থানীয় এলাকার শরিফুল ইসলাম।
দুই স্থানে অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করে মাছচাষ করায় আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত পরিবারের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। পাঁচটি গ্রামের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর এবং পানের বরজসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এনিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মো. আনাস বলেন, খালে বাঁধ দেয়া এবং নতুন নতুন পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।
বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ কেটে পানি বের করার ব্যবস্থা করেছি। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ দূর হয়েছে।
আগামীতে বাঁধ দেয়া এবং পুকুর খননের বিষয়টি প্রশাসন নজরদারি করবে বলেও জানান ইউএনও।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়