মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১০ ১৪৩১
|| ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২
স্বামী নেই; একমাত্র ছেলেও আলাদা থাকেন দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের আয়মনা বেওয়ার (৫৫)। কোনো রকমে তাঁর একার সংসার চলে। খোরাকির জন্য মাঠের ইঁদুরের গর্ত থেকে টেনেটুনে সংগ্রহ করেন ধান। সেই ধান দিয়ে তাঁর চলে যায় বছরের ৫ থেকে ৬ মাস। তাই প্রতি বছর রোপা-আমন কাটার পর তিনি মাঠে নেমে পড়েন ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান কুড়াতে। যদিও ইঁদুরের গর্তে সাপ-পোকামাকড় থাকার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু পেটের জ্বালায় সেই ভয়কে তুচ্ছ করেই ইঁদুরের গর্ত খোঁড়েন আয়মনার।
এখন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে রোপা-আমন কাটছে কৃষকেরা। এই সময়ই আয়মনা বেওয়া ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। খুন্তি কোদাল, চালন, বস্তা নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছোটেন মাঠ থেকে মাঠে আর খুঁজে ফেরেন ইঁদুরের গর্তে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে আয়মনা বেওয়া বলেন, ‘স্বামী নেই। ছেলেও আলাদা থাকে। মানুষের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে খাই। প্রতিদিন সকালে কাজে যাই। আমন ধানের মৌসুমে বিকেলে কাজ থেকে এসে ইঁদুরের গর্ত খুঁজি। গর্ত থেকে রাত পর্যন্ত ধান কুড়াই। ইঁদুরের গর্ত থেকে কুড়ানো ধানেই আমার বছরের অর্ধেক পার হয়ে যায়। এ ছাড়া এ ধান দিয়ে শীতের পিঠাও খাই। আর বছরের বাকি অর্ধেক দিনমজুরির কাজ করে চলে একার সংসার।’ ইঁদুরের গর্তে সাপ পোকা-মাকড়ের ভয় নিয়ে জানতে চাইলে আয়মনা বেওয়া বলেন, ‘পেটের খিদায় সব ভয় উইড়া যায়।’
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘ধান খেতে এভাবে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করা ঝুঁকির। ইঁদুরের গর্তে সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড় থাকতে পারে। যে কোনো সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়