শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৬ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২১
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার হাট কানাপাড়া জোবেদা ডিগ্রি কলেজ। ডিগ্রি পর্যায়ের এই কলেজটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০ শতাধিক। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটিতে পড়াশোনায় বেশ সুনাম রয়েছে। তবে কলেজ চত্বরে গরু প্রজনন উপ-কেন্দ্র গড়ে ওঠায় মারাত্নক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।
প্রতিদিন কলেজ মাঠে গরুর প্রজনন নিয়ে অস্বস্তিতে থাকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারিরা। দীর্ঘ দিন ধরে প্রজনন কেন্দ্রটি স্থানান্তরের দাবিতে একাট্টা রয়েছে কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সচেতন অভিভাবক মহল। তবুও স্থানান্তর করা হয়নি কলেজ মাঠের এ গো- প্রজনন কেন্দ্রটি।
কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাট কানপাড়া জোবেদা ডিগ্রি কলেজ চত্বরে দীর্ঘ দিন আগে গড়ে ওঠা গরু প্রজনন উপকেন্দ্রটির কারনে কলেজের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ হারাতে বসেছে।
কলেজ চলাকালীন সময়ে উন্মুক্ত পরিবেশে গরুর প্রজনন করার কারনে অনেকে এখানে ভর্তি হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। তাছাড়া কলেজে যাতায়াতের রাস্তার পাশেই প্রজনন কেন্দ্রটি থাকায় বিশ্রী গন্ধে নাকে রূমাল চেপে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
গতকাল রোববার সরেজমিনে কলেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের শিক্ষার্থীরা মাঠ দিয়ে চলাফেরা করছেন। একেবারেই কলেজের ভিতরে রয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের আওতায় গো-প্রজননের উপ-কেন্দ্র। প্রতিদিনই এখানে কৃষকরা গরু নিয়ে আসেন প্রজনন ঘটাতে।
কলেজ চত্বরে উপ-কেন্দ্রে অফিস করছেন (ভিএফএ) ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠারও ২০বছর আগে গো-প্রজনন কেন্দ্র এখানে গড়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দফা তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তারা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সংসদ কলেজ মাঠ থেকে এটা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে আর সেটা হয়নি।
রনি ইসলাম ও সজল নামের দুই শিক্ষার্থী জানান, কলেজ মাঠেই উন্মুক্ত গরুর প্রজনন করা হয়। এতে প্রতিদিনই অস্বস্তিতে পড়তে হয় আমাদের। এছাড়া বিশ্রী গন্ধ বের হয়। কলেজ চত্বর দ্রুত প্রজনন কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি করে শিক্ষার্থীরা।
কলেজ অধ্যক্ষ আব্বাস আলী বলেন, কলেজ চত্বরে গরু প্রজনন উপকেন্দ্রটি গড়ে ওঠার কারনে পরিবেশ দূষন হচ্ছে। পাশাপাশি লেখাপড়া সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকছে না। তাই প্রজনন উপকেন্দ্রটি দ্রুত স্থানান্তর করা উচিৎ। প্রয়োজনে কলেজ কর্তৃপক্ষ অন্যত্র জায়গার ব্যবস্থা করে দিবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল কাদির বলেন, বিষয়টি নিয়ে এর আগে আমরা জেনেছি। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানাবো।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সবে মাত্র যোগদান করেছি। বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়