শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২২
দুর্গাপুর উপজেলায় কিছুতেই থামছে না পুকুর খনন। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জেল জরিমানার পরও চলছে কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধ পুকুর খনন। উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামের বিলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি দখল করে পুকুর খনন করছেন জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। ফলে ওই এলাকায় কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি ও বাড়িঘরে জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে বলে আশ্ষ্কা এলাকাবাসীর।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের কয়ামাজমপুর বিলে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের আবাদ করে থাকেন। জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্না সাধারণ সম্পাদক নাসিম মোফাজ্জল কয়েক দিন আগ থেকে ২৫ থেকে ৩০ বিঘা ফসলি জমিতে দিন ও রাতে পুকুর খননকারী যন্ত্র এস্কেভেটর নামিয়ে জমির শ্রেনি বদল করে পুকুর খনন করছেন। এ নিয়ে ওই এলাকার কৃষকরা অভিযোগ করেও তিনি এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় পুকুর খনন এখনও চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কয়ামাজপুর গ্রামের বিল ছাড়াও একাধিক স্থানে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেদারছে পুকুর খনন চলছে। রঘুনাথপুর গ্রামে উঠতি পাটখেতে নষ্ট করে পুকুর খনন করছেন সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি। এছাড়াও রাতুগ্রাম, কয়ামাজমপুর, ঝিনাইয়ের মোড়, ইসবপুর বিলে ফসলি জমি নষ্ট চলছে পুকুর খনন।
পুকুর খননকারী সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাসিম মোফাজ্জল বলেন, পুকুর খনন প্রায় শেষ। কারোর কোন অভিযোগ নেই। গাড়ি উঠে গেছে। এখন কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। পুকুর খনন হয়ে গেলে অভিযোগ করে এখন কী লাভ?।
দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নয়ন হাসান বলেন, পুকুর খনন নিয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। আপনারা (সাংবাদিকেরা) দেখেছেন, গত কয়েক দিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে অনেকের জেল জরিমানাও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানার ব্যবহৃত ফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিপ না করায় তাঁর বক্তব্যে পাওয়া যায় নি।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়