শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৭ ১৪৩১
|| ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২১
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আমগ্রামে আরএস খতিয়ানভুক্ত ২৫ শতক সরকারি খাস জায়গায় একসময় সরকারিভাবেই হাট বসত। প্রায় ৩০বছর আগে ওই হাটটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকারি হাটের ওই খাস জমি তিন দশক পতিত হয়ে পড়ে ছিল।
মাস দুয়েক আগে হাটের ‘খাস’ পতিত জমিতে গ্রামের একটি পক্ষ দখল নিতে কলা গাছ লাগিয়ে ছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে গ্রামবাসীর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গ্রামবাসীদের মধ্যে এক পক্ষ চায় ওই স্থানে ৩০বছর পর আবারও হাট বসুক, অন্য একটি পক্ষ সরকারি ওই জায়গা দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
এ নিয়ে দৈনিক সোনালী সংবাদে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এতে টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ দেবনাথ ওই জমিতে লাগানো কলাগাছ উপড়ে ফেলে দখলমুক্ত করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে সম্প্রতি দখলমুক্ত হওয়ার পর স্থানীয়রা আবারও ৩০বছর পর ওই জমিতে হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গ্রামবাসী একজোট হয়ে হাটবসাতে আবার উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমগ্রাম মৌজার ১৩৩৩ দাগে আরএস খতিয়ানভুক্ত ২৫শতক জায়গার ওপর একসময় হাট বসত। গ্রামের ওই হাটে সবধরনের পণ্য বিক্রি হতো। বিভিন্ন কারণে প্রায় ৩০বছর আগে হাট বন্ধ হয়ে যায়।
তারপর দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি ওই খাস জায়গাটুকু পতিত হয়ে পড়েছিল। গ্রামবাসীর দাবি, আগের মত আবারও ওখানে হাট বসানো হোক।
তাই এ নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর গ্রামবাসী একজোট হয়ে পতিত সরকারি খাস ওই জমিতে আবারও হাট অথবা ঈদগার জন্য স্থানীয় সাংসদ, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও ভূমি অফিসে লিখিত আবেদন করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান গ্রামবাসীর আবেদনের পক্ষে সায় দেন। ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক, রহিম ও জিয়াউর বলেন, এটা আরএস খতিয়ান ভুক্ত সরকারি খাস জমি। সেখানে অনেক আগে হাট বসত। তারপর প্রায় ৩০বছর পতিত হয়ে পড়ে ছিল।
এলাকাবাসীর দাবি আবারও ওই খানে হাট বসুক। এজন্য এলাকাবাসীও সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পূন্ন করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলার প্রশাসনের অনুমতি পেলে আবারও সেখানে ৩০বছর পর হাট বসানো হবে।
লক্ষণখলসী ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় একটি পক্ষ কলাগাছ লাগিয়ে ছিলেন। তা অপসারণ করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ দেবনাথ বলেন, ওই জায়গা দখলমুক্ত করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা হাট অথবা ঈদগার জন্য আবেদন করেছেন। জেলা প্রসাশক মহোদয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়