শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ৫ ১৪৩১
|| ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৮ মে ২০২১
রাজশাহীর দুর্গাপুরে সরকারি পুকুর খননের নামে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠছে বরেন্দ্রের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঠিকাদারী এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বিক্রিত মাটি ট্রাক্টরে যাতায়াতের ফলে দুর্গাপুর টু তাহেরপুর নবনির্মিত কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুকুরের পাড় সঠিক ভাবে না বেধে তিনি নিজ ইচ্ছায় পুকুরের মাটি ইটভাটা ও বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে দায় চাপিয়েছেন দুর্গাপুর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের বক্তব্যে-আমরা কিছুই না। অফিস যা করছে তাই।
জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামে একটি সরকারি (খাস) পুকুর খননের লিজ পান রাজশাহীর এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবার জুলহাস নামের এক ব্যক্তিকে পুকুর খনন (কাটিং) এর দায়িত্ব দেন।
গত কয়েক দিন থেকে পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চলছে পুকুর খনন। পুকুর খননের শুরু থেকে জুলহাস মাটি বিক্রি করতে থাকেন বিভিন্ন এলাকায়। এ নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও তিনি তাদের কথা কর্ণপাত করছেন না।
খননকারী জুলহাস জানান, আমি শুধু খনন (কাটিং) দায়িত্ব নিয়েছি। এটা টেন্ডার পেয়েছে অন্য ব্যক্তি। পুকুরে পর্যাপ্ত মাটি রয়েছে। বিধায় বাহিরে দিতে হচ্ছে। মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, পুকুরে পাড়ে জায়গা নেই। তাই মাটি বিক্রি করছি। অফিসও এটা জানে। আপনাদের কিছু জানার থাকলে অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামে খলিল, সাইফুল ও জামাল জানান, পুকুর খননের শুরু থেকেই ট্রাক্টরে মাটি বিক্রি করছেন তারা। অনেক কৌশলে সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টরে করে মাটি স্থানান্তর করছেন। এতে এলাকা গুলোর রাস্তার বেহালদশা হয়ে পড়েছে। রাস্তা নষ্ট করে বাহিরে মাটি বিক্রি করতে নিষেধ করলেও তাঁরা কিছুতেই শোনছেন না।
পুকুর খননকারী ঠিকাদার রিজু বলেন, আমি এখন ক্লান্ত আছি। আপনার সাথে এ বিষয়ে পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী আজমল হক জানান, তিনি (ঠিকাদার) মাটি পরিবহন বা বিক্রি করতে পারবেন না। পুকুরে মাটি পর্যাপ্ত হয়ে গেলে পাশে স্থানান্তর করতে পারবেন।
তবে এ বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। তিনি (ঠিকাদার) মাটি বিক্রি করছেন কিনা এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়