শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||
চৈত্র ১৫ ১৪৩০
|| ১৯ রমজান ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২০
দুইবছর ধরে চাহিদার তুলনায় দেশে পেঁয়াজ সঙ্কট, তাই বাজারে পেঁয়াজের দামও বেশি। কৃষি অধিদপ্তরের তৎপরতায় পেঁয়াজের এ ঘাটতি পূরণে কৃষকরা গতবছর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় স্বল্পমাত্রায় নিচু জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করে ছিলেন। এতে অধিক লাভবান হয়ে ছিলেন কৃষকরা।
এবারও উপজেলায় নিচু জমিতে পানি কমতে শুরু করেছে। লাভের আশায় গতবছরের ন্যায় এবারও বিনাচাষে পেঁয়াজ রোপণের হিড়িক পড়েছে। চাষের খরচ বাঁচার পাশাপাশি সার ও সেচের খরচ কম হওয়ায় বিনাচাষে পেঁয়াজের আবাদ এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় কৃষক ও দুর্গাপুর কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কৃষকরা অক্টোবর মাসের শেষের দিকে জমির পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভিজা জমিতে পেঁয়াজের অঙ্কুর রোপন করে। এরপর খড় অথবা আগাছা দিয়ে পেঁয়াজের অঙ্কুর ঢেকে দেয়।
গতবছর এ পদ্ধতি পেঁয়াজ চাষ করে অধিক লাভবান হয়ে ছিলেন কৃষকরা। কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় এবারও উপজেলায় ব্যাপক হারে বিনা চাষে পেঁয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে। বিনাচাষে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রথমত কোন চাষ দিতে হয় না। সার ও সেচ অর্ধেকেরও কম লাগে। এ পদ্ধতিতে খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদের দিকে ঝুঁকছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন বেশি হয়। ফলে নিচু জমিতে পানি নামার সাথে সাথে এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আবাদ বাড়ছে কয়েক গুণ।
উপজেলার শানপুকুরিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার জমির পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভিজা স্যাঁতস্যাঁতে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করে নেয় কৃষকরা। পরে চাষ ছাড়াই সহজে পেঁয়াজ কুঁড়ি রোপণ করে।
গতবছর আমরা বেশ ভাল ফলন পাওয়াতে এবারও আরও অধিক জমিতে পেঁয়াজ আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আল্লাহর রহমতে ভাল ফলনের আশা করছি।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, তিনি গতবছর ১০কাটা জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন।
বাজারে পেঁয়াজের দাম ভাল থাকায় তিনি গত বছর ৮৪ হাজার টাকা পেঁয়াজ বিক্রি করে ছিলেন। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় এবারও তিনি নিচু জমিতে আরও বেশিতে জমিতে পেঁয়াজ রোপণের ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছেন।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, গত বছর উপজেলার স্বল্পমাত্রায় প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করেছিল। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভাল থাকায় কৃষকরা অধিক লাভবান হয়ে ছিল।
এবছরও গত বছরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ করবেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই জমির পানি কমতে শুরু করায় কৃষকরা ব্যাপকহারে নিচু জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নিচু জমিতে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদের খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এজন্য এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে বিনাচাষে পেঁয়াজ আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়