বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||
বৈশাখ ১১ ১৪৩১
|| ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২০
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যেও তীব্র অসন্তোষ চলছে। তবে একটি মহল অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের নামে প্রহসন করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসির শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রায় এক সপ্তাহ আগে বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন শ্রেণিকক্ষের ভিতরেই অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর গায়ে হাত দেন। এতে ওই ছাত্রী বিব্রত হয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের এমন আচরণের বিরোধিতা করেন। ঘটনাটি এক কান দুই কান করে অনেকের মধ্যেই জানাজানি হয়। একপর্যায়ে যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানান।
ওই ছাত্রীর বাবা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি সালিশ বৈঠক বসানো হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই সালিশী বৈঠক শেষ হয়।
এর আগেও বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষক শহিদুল ইসলামের এমন নারীলোভী আচরণের কারণে ইতিপূর্বে তার দুই স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছেন। বর্তমানে শিক্ষক শহিদুল তৃতীয় স্ত্রী নিয়ে ঘর সংসার করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ওই ছাত্রীর বাবা জানান, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার সে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার করতে ব্যর্থ হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি বিষয়টিকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দাবি করেন। এমনকি এ ধরনের কোনো ঘটনা কখনোই ঘটেনি বলেও দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রওশনারা জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ তিনি মৌখিক ভাবে পেয়েছেন। তবে তার কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ কেউ করেননি। এ কারণে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশিদা বানু কনা জানান, ঘটনাটি তার জানা নেই। যদি ওই ছাত্রী ও তার বাবা লিখিত অভিযোগ করেন তবে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
এন/কে
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়